কাজের সময়ের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা
সহকর্মীদের কাজের কোনও সূচি না থাকলেও আমরা ধারাবাহিক ভাবে একটা শেডিউল তৈরি করে নিতে পারি। নির্দিষ্ট সময় কাজ শুরু বা শেষ করতে পারলে দিনের শেষে অনেকটাই ব্যক্তিগত সময় পাওয়া যাবে।
কাজের ফাঁকে বিরতি নেওয়া
সাধারণত অফিসে কাজের ফাঁকে আমরা সবাই একটু-আধটু বিরতি নিই। কিন্তু বাড়িতে সেটা হয় না বললেই চলে। একটার পর একটা কাজ করতে থাকলে কিছু ক্ষণ পরে আর সঠিক ভাবে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই ফোন, ল্যাপটপ ছেড়ে অন্তত ১০ বা ১৫ মিনিটের ব্রেক নিয়ে খানিকক্ষণ হেঁটে আসা, পরিবারের মানুষের সঙ্গে একটু গল্প করা যেতেই পারে।
advertisement
ব্যক্তিগত মুহূর্ত তৈরি
দিনে অন্তত ১০ মিনিট একেবারেই ব্যক্তিগত বিষয়ে ব্যয় করা উচিত। পছন্দের খাবার, পছন্দের টিভি শো এইসব নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া যেতে পারে।
মুক্ত বাতাস নেওয়া
সারাদিনের কাজের একটু বাইরে বেড়িয়ে আসা বা খোলা জানলার ধারে বসা যেতেই পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে কিছুক্ষণ অন্তত মুক্ত হাওয়ায় থাকলে ডিসিশন নেওয়ার ক্ষমতা এবং মানসিক সহ্যশক্তি বৃদ্ধি পায়।
নিজেকে সময় দেওয়া
কাজের ব্যস্ত সময় থেকে কিছুটা সময় নিজেকে দেওয়া খুবই দরকার। নিজের পছন্দের যে কোনও কাজ যা মনকে আনন্দ দেয় সেগুলো করা যেতে পারে।
কিছুক্ষণের জন্য নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখা
নিয়মিত নেগেটিভ খবর বা নেগেটিভ কথাবার্তা আমাদের মনকে নিস্তেজ করে দেয়। সেক্ষেত্রে কিছুক্ষণের জন্য বাইরের জগৎ থেকে বিরতি নেওয়া যেতে পারে।
কাছের মানুষের সঙ্গে মন খুলে কথা বলা
নিজেকে ভাল রাখার জন্য হাজার চেষ্টাও অনেক সময় ফল দেয় না। আমাদের পরিবার, ভবিষ্যৎ, কাজের প্রেশার জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। এক্ষেত্রে কাছের মানুষের সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পারলে অনেক সময় মানসিকভাবে শান্তি পাওয়া যায়।