রাজকোটের স্বামীনারায়ণ চকে অবস্থিত ডেন্টাল কেয়ার ক্লিনিকের ডা. ময়ূরী মাকওয়ানা বলেন, গুজরাতের বিভিন্ন স্থানেই তামাক, গুটখা বা পানমশলার প্রচলন রয়েছে। এছাড়াও বিড়ি বা সিগারেটের প্রতিও প্রচুর পরিমাণে আসক্তি রয়েছে। এই কারণে এখানে প্রায় প্রত্যেক ব্যক্তিরই মুখের ও দাঁতের রোগ বেশি দেখা যায়। মুখে ফোলা ভাব, মশলাদার খাবার খেতে না পারা, মুখের প্রদাহ, মুখের ঘা, মাড়ি ফুলে যাওয়া, দাঁতে ব্যথা ও দাঁত দিয়ে রক্ত পড়ার মতো নানা সমস্যায় রোগীরা তাঁর কাছে আসেন।
advertisement
বিড়ি-সিগারেটের প্রতি আসক্তি তালুতে লালভাব, ঘা এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে। যাঁরা গুটখা খান তাঁরা সাধারণত মুখের এক জায়গায় গুটকা ধরে রাখেন। তাই ওই জায়গায় ঘা বাড়তে শুরু করে। এই ঘাগুলি দীর্ঘদিন ধরে বাড়তে বাড়তে ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: কনজাংটিভাইটিসের ভয়ে কাঁপছে গোটা দেশ! KGMU-এর নির্দেশিকা জারি, নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন এভাবে
ওরাল সাবমিউকাস ফাইব্রোসিস: বর্তমানের গুরুতর সমস্যা
আজকাল অনেকের মধ্যেই ওরাল সাবমিউকাস ফাইব্রোসিস বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রমাগত মশলা খাওয়ার ফলে দাঁতের পেশি শক্ত হয়ে যায়, মুখ ও মাড়িতে প্রদাহ মুখের ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
নেশা ছাড়তে কী করতে হবে?
আসক্তি মুক্ত করার জন্য পারিবারিক ডাক্তার বা নিকটস্থ ডেন্টিস্টের পাশাপাশি আসক্তি মুক্ত কেন্দ্রে যাওয়া যেতে পারেন। মশলাদার খাবার খেতে না পারা, মুখে জ্বালাভাব, ঘা, মাড়ি ফুলে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। সর্বদা পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া এবং মেডিটেশন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷
দিনে কতবার ব্রাশ করা উচিত?
চিকিৎসকের মতে, আমাদের দিনে অন্তত দুবার ব্রাশ করা উচিত। অধিকাংশ মানুষ সকালে মাত্র একবার ব্রাশ করেন। সকালে এবং রাতে ঘুমানোর সময় ব্রাশ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাতে ব্রাশ না করলে দাঁতে খাবার আটকে থাকে। এতে দাঁতের ক্ষয় আরও বাড়ে।