অতিরিক্ত জল: জল না দিলে মেঝে মোছা সম্ভব নয়। এটা সত্যি। কিন্তু বেশি জল ঢেলে ফেললে আরেক বিপত্তি। ফ্লোর বোর্ড, লিনোলিয়াম এবং টাইলসের মধ্যে সেই জল ঢুকে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, মেঝে পিচ্ছিল হয়ে যায়। এবং শুকোতে সময়ও লাগে অনেকক্ষণ। তাই অল্প জল দিয়েই কাজ সারতে হবে। যাতে মেঝে মোছাও যায় আবার শুকিয়েও যায় তাড়াতাড়ি।
advertisement
আরও পড়ুন: যত ইচ্ছে Luggage নিয়ে ট্রেনযাত্রা আর নয়! নতুন নিয়ম চালু করল ভারতীয় রেল! জানুন...
অতিরিক্ত সাবান: মেঝে মোছার জন্য জলের সঙ্গে গুঁড়ো সাবানও দিতে হয়। কিন্তু অতিরিক্ত জলে যেমন বিপত্তি তেমনই অতিরিক্ত সাবানেও কাজ পণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ সাবান বেশি হয়ে গেলে শুকিয়ে যাওয়ার পরেও এটা মেঝেতে লেগে থাকবে। সেই অবস্থায় কারও পা পড়লে আছাড় খেয়ে পড়ার প্রভূত সম্ভাবনা। তাই মেঝে পরিষ্কারের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে সাবান ব্যবহার করতে হবে কিন্তু বেশি নয়।
স্ক্রাবার বা ঝাঁটা: মেঝে অবিনশ্বর নয়। কতদিন টিকবে সেটা তার উপাদানের উপর নির্ভর করবে। তাই মেঝে পরিষ্কারের জন্য কী ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে নরম কাপড় বা স্পঞ্জ সবচেয়ে ভালো বিকল্প হতে পারে। শক্ত ব্রাশ বা স্ক্রাবার দিয়ে ঘষলে পোর্সেলিনের টাইলস, লিনোলিয়াম বা কাঠের মেঝেতে স্ক্র্যাচ পড়ে যেতে পারে (Floor Cleaning Mistakes)।
ভালো ভ্যাকুয়াম ক্লিনার: কার্পেট পরিষ্কারের জন্য পেশাদারদের ডাকলে খুব ভালো। তবে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে নিজেরাও এই কাজটা করে নেওয়া যায়। এজন্য একটা ভালো ভ্যাকুয়াম ক্লিনার কেনা এবং সেটা যত্নের সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। এখন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার যথেষ্ট ভালো আছে কি না বোঝা যাবে কীভাবে? যদি দেখা যায় তিন বারের চেষ্টায় একটা পপকর্নের টুকরো উঠছে তাহলে বুঝতে হবে বদলানোর সময় এসেছে। এই টিপসগুলো মেনে চললেই মেঝে পরিষ্কার অনেক সহজ হয়ে যাবে।