তাঁদের মতে, ফ্লেভারড হুক্কায় স্বল্প পরিমাণে অ্যালকোহল মেশানো হয়। যার ফলে এটাই এক সময় আসক্তিতে পরিণত হয়। যা শরীরে বিভিন্ন রোগের জন্ম দিতে পারে। তবে বর্তমান কালে যুবসমাজ এই বিষয়ে কিন্তু একেবারেই ওয়াকিবহাল নয়। শুধু অ্যালকোহলই নয়, ফ্লেভারড হুক্কায় আবার যথেষ্ট পরিমাণে তামাকজাত দ্রব্যও থাকে। এটাও তরুণ-তরুণীদের আসক্তি বা নেশা বাড়ানোর আর একটা অন্যতম বড় কারণ। সব মিলিয়েই স্বাস্থ্যের উপর চরম প্রভাব পড়ে।
advertisement
এই প্রসঙ্গে আলোচনা করছেন রাজস্থানের ভিলওয়ারা জেলার ডেপুটি চিফ মেডিক্যাল ও হেলথ অফিসার ডা. ঘনশ্যাম চাওলা। তাঁর বক্তব্য, আজকালকার তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ফ্লেভারড হুক্কা বা বিভিন্ন রকম স্বাদের হুক্কা সেবন করার প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। অর্থাৎ সকলের মধ্যে ফ্লেভারড হুক্কা নিয়ে উন্মাদনা থাকে প্রবল। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এটাই জানে না যে, ফ্লেভারযুক্ত হুক্কার মধ্যে স্বল্প পরিমাণে অ্যালকোহল এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে তামাকজাত দ্রব্য থাকে। যার কারণে এর নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে তারা।
ডা. ঘনশ্যাম চাওলা আরও বলেন, অ্যালকোহল এবং তামাকজাত দ্রব্যের উপস্থিতির কারণে মস্তিষ্ক, ফুসফুস এবং হার্টেও প্রভাব পড়ে। এমনকী কখনও কখনও এটি শরীরে ক্যানসারের মতো বিপজ্জনক রোগেরও জন্ম দেয়। ধূমপান করলে যেমন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে, ঠিক সেভাবেই হুক্কা সেবনের ফলেও ওই রোগ বাসা বাঁধার আশঙ্কা বাড়ে।