এই বিষয়ে ডাস্টিন হার্বের বক্তব্য, এলাকার মাটি, আবহাওয়া তথা টোপোগ্রাফি থেকে শুরু করে প্রতিটি বিষয় হুইস্কির ফ্লেভারে কী ভাবে প্রভাব ফেলে, তা জানার জন্য দীর্ঘ গবেষণার প্রয়োজন হয়। এই সমীক্ষা করতে গিয়ে তাই অনেকটা সময়ও লেগেছে। এক্ষেত্রে ঠিক কোন পরিবেশে বার্লি বেড়ে ওঠে, ফ্লেভার তৈরিতে বার্লির ঠিক কী যোগদান রয়েছে, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তর গবেষণা করা হয়েছে।
advertisement
প্রথমে সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত গবেষক দল হুইস্কির ফ্লেভার নির্ধারণকারী উপাদানগুলি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। এর পর বার্লির চাষ নিয়ে বিশদে গবেষণা শুরু হয়। আলাদা আলাদা জায়গা ও আবহাওয়ায় বার্লি চাষ করা হয়। প্রথমে মাটির দিক থেকে ভিন্ন এলাকা অর্থাৎ আয়ারল্যান্ড ও লরেটে বার্লির চাষ করা হয়। পরে পরিবেশ ও আবহাওয়ার দিক থেকে ভিন্ন দু'টি এলাকা অর্থাৎ অ্যাথি ও বানক্লাউডি এলাকায় বার্লির চাষ করা হয়। অ্যাথি একেবারে স্থলভাগের অন্তর্গত এলাকা ও বানক্লাউডি উপকূলবর্তী এলাকা। এখানে মাটির পাশাপাশি তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাতের পরিমাণও আলাদা।
বার্লি বেড়ে ওঠার পর গ্যাস ক্রোমেটোগ্রাফি (Gas Chromatography) নামে এক ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করেন গবেষকরা। এর সাহায্যে ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় চাষ হওয়া বার্লিগুলির নির্যাস পরীক্ষা করা হয়। আর এখানেই আসল পার্থক্যগুলি ধরা পড়ে। এমনকি হুইস্কি তৈরির সময়েও বার্লির জেরে ফ্লেভারে একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এক্ষেত্রে অ্যাথিতে অপেক্ষাকৃত মিষ্টি ফ্লেভার দেখা যায়। ঠিক তার উল্টো ফ্লেভার পাওয়া যায় লরেটে। গবেষকরদের কথায়, এই সমীক্ষা হুইস্কি তৈরি ও তার ফ্লেভার নির্ধারণের ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।