আজকাল কৃষকরা কৃষিতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কখনও আগাছা এবং কখনও পোকার আক্রমণ ফসলের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যাগুলি কৃষকদের শ্রম এবং খরচ উভয়কেই উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে।
বর্তমানে বিশেষ করে কৃষকরা মিলিবাগের সমস্যায় পড়ছেন। এই ছোট, সাদা, তুলোর মতো পোকা গাছপালার রস চুষে দুর্বল করে দেয়। এই আক্রমণ মূলত তুলো, ডালিম, আখ, আম, লেবু, শাকসবজি এবং ফুলে দেখা যায়।
advertisement
এই বিষয়ে হাজারিবাগের তারাবা খারওয়ায় অবস্থিত ISECT বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞানী ড. অরবিন্দ কুমার ব্যাখ্যা করেছেন যে, মিলিবাগ দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং যদি তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তাহলে পুরো ফসল ধ্বংস করতে পারে। অতএব, কৃষকদের নিয়মিত তাঁদের ক্ষেত পর্যবেক্ষণ করা উচিত এবং প্রাথমিক পর্যায়ে এই পোকামাকড় শনাক্ত করা উচিত।
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন যে, মিলিবাগ পাতা, কাণ্ড এবং ফলের মতো কোমল গাছের অংশ থেকে রস চুষে নেয়, ফলে গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে। এর ফলে বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, পাতা হলুদ হয়ে যায় এবং শুকিয়ে যায়। এই পোকামাকড় একটি আঠালো পদার্থও নির্গত করে, যা পরে সাদা বা কালো ছত্রাক তৈরি করে।
আরও পড়ুন : দুর্গন্ধে বমি উঠে আসবে! অথচ এটাই ১ চিমটে লাগালে শুঁয়োপোকার কাঁটার জ্বালাপোড়ায় মিলবে আরাম!
তিনি বলেন যে, মিলিবাগ নিয়ন্ত্রণের জন্য জৈবিক এবং রাসায়নিক উভয় পদ্ধতিই কার্যকর। জৈবিক পদ্ধতির মধ্যে নিমের দ্রবণ এবং রসুন-আদার দ্রবণকে সবচেয়ে কার্যকর বলে মনে করা হয়। যদি পোকার আক্রমণ কয়েকটি গাছের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, তবে সংক্রমণের বিস্তার রোধ করার জন্য এগুলি অবিলম্বে ক্ষেত থেকে সরিয়ে ফেলা উচিত।
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন যে, মিলিবাগের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করা প্রয়োজন। কৃষকরা ইমিডাক্লোপ্রিড, থায়ামেথক্সাম এবং ক্লোরপাইরিফসের মতো কীটনাশক স্প্রে করতে পারেন।
এছাড়া, ১ টাকার শ্যাম্পুর দ্রবণ স্প্রে করাও খুব কার্যকর প্রমাণিত হয়, কারণ এটি মিলিপিডের শরীরে উপস্থিত মোমের স্তর ভেঙে দেয়, যার কারণে তারা দ্রুত মারা যায়।
