প্রতি বছর বর্ষায় এমন সংক্রমণ হলেও, এই বছর সংক্রমণের প্রকোপ বেড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। ছত্তিশগড়ের প্রতিটি জেলায় এধরনের রোগীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ, যা একজন থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়ায়।
কী এই রোগ?
চোখের ফ্লু বা কনজানটিভাইটিস, এমন একটি রোগ যা সংক্রমণের কারণে ঘটে। এই রোগে চোখের ঝিল্লি সংক্রামিত হয়। কনজানটিভাইটিসকে ‘পিঙ্ক আই’ নামেও চিহ্নিত করা হয়।
advertisement
ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে যেকোনও মানুষ এই রোগ আক্রান্ত হতে পারেন। চিকিৎসায় অবহেলা করলে চোখও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। অ্যাডেনোভাইরাস, হারপিস, সিমপ্লেক্স ভাইরাস, পোলস ভাইরাস এবং মাইক্সোভাইরাসের মতো ভাইরাস সংক্রমণের ফলে এটি ছড়াতে পারে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। এই রোগের ফলে আক্রান্তের চোখের সাদা অংশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। চোখ খুলতে, কিছু দেখতে খুবই অসুবিধা হয় রোগীর।
কী ভাবে ছড়ায় এই রোগ?
অনেকেই মনে করেন, আক্রান্ত ব্যক্তির চোখের দিকে তাকালেই এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু এটা সত্যি নয়। বরং চিকিৎসকরা বলেন, কোনও ভাবেই এই সংক্রমণ বাতাস বাহিত হতে পারে না। সংক্রামিত ব্যক্তির ব্যবহার করা কোনও সামগ্রী ব্যবহার করলে এই সংক্রমণ ঘটতে পারে। অথবা, সংক্রামিত ব্যক্তি চোখে হাত দেওয়ার পর সেই হাতের ছোঁয়া কারও চোখে লাগলেও হতে পারে।
লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায় কী?
চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. শশী জৈন জানান, এটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বা ভাইরাল সংক্রমণ থেকে হতে পারে। আজকাল, ভাইরাল সংক্রমণের রোগীর সংখ্যাই বেশি। এঁদের মধ্যে চোখ জল, চোখ লাল হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়। অনেক সময় রোগীদের চোখ থেকে রক্তও বেরতে পারে। এটি সংক্রামক, তাই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। এই রোগ ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।