বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুযায়ী, ২০১৮ সালে, ১৪০,০০০ এরও বেশি লোক মারা গেছে। বেশিরভাগই ৫ বছরের কম বয়সী শিশু। বর্তমানে, মুম্বাই হামের প্রকোপের্ সম্মুখীন । কর্পোরেশন সন্দেহ করছে যে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে সাতজন মারা গেছে এবং শহরে ১৬৪ টি কেস রয়েছে ।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক হামের লক্ষণ ও নিবারণের উপায় -
advertisement
লক্ষণ :
এই উপসর্গগুলো দেখে নিন
ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার প্রায় ১০ থেকে ১২ দিন পর প্রচন্ড জ্বর শুরু হয়। জ্বর চার থেকে সাত দিন থাকে
সর্দি এবং কাশ
চোখ লাল হয় এবং জল পরে
প্রাথমিক পর্যায়ে মুখের ভিতরে সাদা দাগ
মুখ এবং ঘাড়ের উপরের অংশে ফুসকুড়ি থাকলে লক্ষ্য করুন
হাম সংক্রান্ত জটিলতাগুলি মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু বা ৫০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের গুরুতর সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
অন্ধত্ব, এনকেফালাইটিস (একটি সংক্রমণ যা ব্রেন এনলার্জমেন্ট ঘটায়), গুরুতর ডায়রিয়া , ডিহাইড্রেশন, কানের সংক্রমণ এবং নিউমোনিয়ার মতো গুরুতর শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ সবচেয়ে বিপজ্জনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছে। এই সংক্রমণটি সেই সমস্ত শিশুকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে যাদের পুষ্টি অভাব আছে এবং যাদের ভিটামিন এ-এর অভাব রয়েছে বা যাদের এইচআইভি/এইডস এবং অন্যান্য ইমিউনিটি কম্প্রোমাইসিং রোগ রয়েছে।
চিকিত্সা এবং রোগ নিবারণের উপায় :
ডাব্লুএইচওর মতে এর জন্য কোনও বিশেষ অ্যান্টিভাইরাল চিকিত্সা নেই। সঠিক পুষ্টি, পর্যাপ্ত পরিমানে লিকুইড পান এবং ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন ব্যবহার করে রোগীদের জটিলতা কমানো যায়। চোখ ও কানের সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। হাম ধরা পড়া শিশুদের চোখের ক্ষতি এবং অন্ধত্ব রোধ করতে ভিটামিন এ সাপ্লিমেন্ট দিতে হবে।
এই রোগ প্রতিরোধের জন্য, শিশুদের একটি হামের টিকা আছে। অনাক্রম্যতা বাড়াতে এবং রজার প্রকোপ রোধ করার জন্য ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ভালো স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন করুন যার মধ্যে রয়েছে -
সাবান ব্যবহার করে সঠিকভাবে হাত ধোয়া
টুথব্রাশ, রুমাল এবং বাসনপত্রের মতো ব্যক্তিগত আইটেমগুলি অসুস্থ ব্যক্তিদের সাথে শেয়ার করবেন না
অসুস্থ মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)