শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ এবং বিখ্যাত সিভিল ইঞ্জিনিয়ার স্কলার বিশ্বেশ্বরায়া ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিং ফিল্ডে বিশেষ নজির সৃষ্টি করেছিলেন। এই ফিল্ডে তাঁর ভূমিকা ও অবদান ছিলও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন - Twin Muder: মদ খাইয়ে ধর্ষণ করে খুন, প্রেমিকা ও স্ত্রীকে একই ছকে খুন অভিযুক্তের
১৮৬১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বেশ্বরায়া কর্নাটকে জন্মগ্রহণ করেন। মাইসোর বিশ্ববিদ্যালয় (Mysore University) থেকে কলা বিভাগে স্নাতক হন। এর পর পুণের কলেজ অফ সায়েন্স (College Of Science) থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ করেন। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন ভারতের বিখ্যাত ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর প্রতি সম্মান প্রদানের জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর এই দিনটিকে ভারতে জাতীয় ইঞ্জিনিয়ার দিবস পালন করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন - Met Gala 2021: Madona-র যৌবন মাখা মেয়ের শরীরে বোল্ড পোশাক, তবে দর্শকদের নজর আটকালো বাহুমূলে!
বিশ্বেশ্বরায়া তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন সেই সময়ের বম্বে সরকারের পাবলিক ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্টে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে। তিনি মাইসোর, হায়দরাবাদ, ওড়িশা এবং মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন টেকনিক্যাল প্রজেক্টে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এই সকল কাজে তাঁর ভূমিকা ছিলও অনস্বীকার্য। ১৯১২ সালে তিনি মাইসোরে চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ শুরু করেন।
সেখানকার বিখ্যাত ‘কৃষ্ণ রাজা সাগর ড্যাম’ (Krishna Raja Sagar Dam) তিনি তৈরি করেন, ১৮৯৯ সালে হায়দরাবাদের ‘ডেকান ক্যানাল’(Deccan Canals), ১৯০৩ সালে পুণের ‘খড়কওয়াসলা রিজার্ভার’(Khadakwasla Reservoir) তিনি তৈরি করেন। পুণের এই রিজার্ভার তৈরি করার জন্য তিনি ‘ভারত রত্ন’ সম্মানে ভূষিত হন। ১৯১৭ সালে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ইন বেঙ্গালুরু স্থাপন করেন, পরবর্তীকালে যার নাম হয় 'ইউনিভার্সিটি বিশ্বেশ্বরায়া কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়' (University Visvesvaraya College Of Engineering)।
১৯৫৫ সালে ভারত সরকার তাঁকে ‘ভারত রত্ন’ সম্মান প্রদান করেন। তিনি ব্রিটিশ সরকারের ‘নাইটহুড’(Knighthood) সম্মানে ভূষিত হন। এর পর কিং জর্জ ভিভি (King George VV) তাঁর নামের আগে ‘স্যার’ উপাধি যোগ করেন। শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়ার ফিল্ডেই তাঁর কর্মকাণ্ড আটকে ছিল না। এর সঙ্গে সঙ্গে তিনি ভারতের সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিল্প ইত্যাদি ক্ষেত্রেও নানা ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর প্রতি সম্মান প্রদানের জন্য ভারতে জাতীয় ইঞ্জিনিয়ার দিবস পালন করা হয় প্রতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর। এবার এই বিশেষ দিনটির থিম হল ‘ইঞ্জিনিয়ারিং ফর আ হেলদি প্ল্যানেট’(Engineering for A Healthy Planet)।