আপেল স্মুদি
আপনার মেটাবলিজম বাড়াতে এবং আপনাকে এনার্জীটিক থাকতে আপেল স্মুদি খুবই উপকারী। এই পানীয়টি তৈরি করতে, ১ কিউব আপেল, দুধে ভেজানো ৩টি খেজুর এবং ৩টি বাদাম একসাথে মিশিয়ে ২ টেবিল চামচ ভেজানো চিয়া বীজ এতে যোগ করুন। আয়রন সমৃদ্ধ এই পানীয়টি অন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং মেটাবলিজমকে উন্নত করবে কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন রয়েছে।
advertisement
পালং শাক এবং অ্যাভোকাডো স্মুদি
আয়রন, ফাইবার, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই স্মুদি তৈরি করতে এক কাপ ধোয়া কচি পালং শাক এবং আধখানা আভাকাডো নিন। এগুলিকে একটি ব্লেন্ডারে ঢেলে ভালো করে ফাটিয়ে নিন। তারপর স্বাদ অনুসারে সৈন্ধব লবণ এবং কালো মরিচ যোগ করুন। এই পানীয়টি আপনাকে শুধুমাত্র সঠিক পরিমাণে পুষ্টি দেবে না, তবে এতে থাকা আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলিও রক্ত সঞ্চালন উন্নত করবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এবং কোষের পুনর্জন্মে সহায়তা করবে।
বিটরুট চা
এই চটজলদি চা বানাতে ১ ইঞ্চি আদা, দেড় কাপ পানি এবং ১২ কাপ গ্রেট করা বিটরুট কুচি করুন। এই মিশ্রণটি ২টেবিল চামচ লেবুর রস, সৈন্ধব লবণ এবং কালো মরিচ দিয়ে ফোটান। বিটরুটের মিনারেলস, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। কালো মরিচ, লেবুর রস এবং আদার সাথে এর সংমিশ্রণ শুধুমাত্র অ্যালার্জি, সর্দি, কাশি এবং জ্বরের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে না বরং শরীরকে মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত করে।
আমলা রস
৪-৫টি আলমার ছোট ছোট টুকরো ১ কাপ জল, ১ চিমটি কালো মরিচ, ১ চিমটি সৈন্ধব লবন এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস দিয়ে ব্লেন্ড করে দ্রুত ঘরে তৈরি আলমা পানীয় তৈরি করুন৷ একটু মিষ্টি স্বাদ পেতে আপনি মধু যোগ করতে পারেন। সকালে এটি পান করুন। আমলার রস যাতে উচ্চমাত্রায় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি টক্সিন বের করে শরীরের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে। তা ছাড়াও, আমলা মেটাবলিজম উন্নত করে এবং ওজন কমায়।
সবুজ স্মুদি
সবুজ শাক-সবজি, বিশেষ করে গাঢ় সবুজ শাক-সবজিতে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এগুলি কেবল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে না, ইমিউন সিস্টেম কোষগুলির পুনর্জন্মেও সহায়তা করে। প্রতিদিন ২ কাপ পালং শাকের রস আপনার প্রতিদিনের ভিটামিন এ, ভিটামিন কে এবং ফোলেটের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারে। পালং শাকে ভিটামিন সি এবং বিটাসায়ানিনও বেশি থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)