উপকরণ: শুকনো ডুমুর – ১ কাপ (প্রায় ১০ থেকে ১২ টুকরো), মিহি করে কাটা খেজুর – ১ কাপ, কুচানো বাদাম – ১/৪ কাপ; কাজু – ১/৪ কাপ; পেস্তা – ২ টেবিল চামচ; আখরোট – ২ টেবিল চামচ; ঘি – ১ টেবিল চামচ; এলাচ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ।
প্রথমে, ডুমুর এবং খেজুর ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। একটি প্যানে ঘি গরম করতে হবে এবং বাদাম, কাজু, পেস্তা এবং আখরোট হালকা করে ভাজতে হবে। সম্পূর্ণ ঠান্ডা হয়ে গেলে কুচো করে নিতে হবে।
advertisement
এখন একই প্যানে ডুমুর এবং খেজুর যোগ করতে হবে এবং ৪ থেকে ৫ মিনিট ধরে রান্না করতে হবে, যতক্ষণ না তা নরম হয়ে যায়। তারপর কাটা শুকনো ফল এবং এলাচ গুঁড়ো যোগ করতে হবে এবং ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
আঁচ বন্ধ করে মিশ্রণটি একটু ঠান্ডা হতে দিতে হবে। তার পর হাতে করে ঘি মাখিয়ে ছোট ছোট লাড্ডু তৈরি করতে হবে। যদি ইচ্ছা হয়, এই লাড্ডুগুলিকে ভাজা তিল বা পোস্ত বীজের সঙ্গেও লেপে দেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন : দুর্গন্ধে বমি উঠে আসবে! অথচ এটাই ১ চিমটে লাগালে শুঁয়োপোকার কাঁটার জ্বালাপোড়ায় মিলবে আরাম!
শুকনো ডুমুর এবং খেজুর দিয়ে তৈরি এই সুস্বাদু রেসিপিটিতে চিনি বা গুড়ের প্রয়োজন হয় না। বাদাম, কাজু, পেস্তা এবং আখরোটের মতো শুকনো ফলের সঙ্গে খেজুর এবং ডুমুরের প্রাকৃতিক মিষ্টতা কেবল স্বাদই বাড়ায় না, বরং তা স্বাস্থ্যকর এবং শক্তিবর্ধকও বটে। এই লাড্ডুগুলি এত সুস্বাদু যে এগুলো শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয়েই পছন্দ করে। সবচেয়ে ভাল দিক হল এগুলো তৈরি করা অবিশ্বাস্য সহজ, তৈরি করে একটি এয়ারটাইট পাত্রে বহু দিন তুলে রাখা যেতে পারে।
একটি বিষয় মনে রাখতে হবে- প্রতিদিন কেবল একটি ডুমুরের লাড্ডু খাওয়া উচিত, দুটি বা তিনটি নয়। অন্যথায়, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ব্যথা হতে পারে। কারণ এটি শরীরকে খুব বেশি গরম করে দেয়। শিশুদের এই বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকা উচিত। এগুলো দুধের সঙ্গেও খাওয়া যেতে পারে, তবে দিনে মাত্র একবার!
