বর্ধমানের কাঞ্চননগরে অবস্থিত দেবী কঙ্কালেশ্বরীর মন্দির। এই মন্দিরের ইতিহাস কমবেশি সকলেরই জানা।কে কবে এই মন্দির এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তা কেউ জানেন না।তবে প্রথমে কোনও বিগ্রহ ছিল না এই মন্দিরে।কথিত আছে, সাধক কমলানন্দ পরিব্রাজক দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে ১৩২৩ সালে স্বপ্নে দামোদরের তীর থেকে ওই শিলামূর্তিটি উদ্ধার করেন। পরে সেই দেবীমূর্তি নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করা হয় মন্দিরে। তারপর থেকে দেবী পূজিত হয়ে আসছেন এই মন্দিরে।কঙ্কালেশ্বরী ট্রাস্ট-এর পক্ষ থেকে প্রতিদিন দুপুরে ভাত,ডাল, ভাজা, দু’রকমের তরকারি ও মিষ্টি খাওয়ানো হয় ১০ টাকার বিনিময়ে, এই প্রকল্প চলছে প্রায় তিন বছর ধরে।
advertisement
আরও পড়ুন : পেটের রোগ, ওজন বেশি…৪ রোগে দাঁতেই কাটবেন না ভুট্টা! জানুন ব্লাড সুগারে খাবেন কি না
শুধু বর্ধমানই নয়, বিভিন্ন জায়গা এই মন্দিরে থেকে ভোগ খেতে আসেন মানুষজন। সপ্তাহের অন্যান্য দিন দেবীর ভোগ খেতে প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ মানুষের সমাগম হয় এই মন্দিরে। রবিবার সেই সংখ্যাই পৌঁছয় দুই থেকে আড়াই হাজারে। তাই রবিবার থাকে বিশেষ ব্যবস্থা। এদিন খাওয়ানো হয় পোলাও,আলুর দম,তরকারি চাকরি ও মিষ্টি। পাশাপাশি এবছর নভেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছে নতুন প্রকল্প। প্রতিদিন রাত্রেও রুটি, ছোলার ডাল, সবজি ও মিষ্টি খাওয়ানো হচ্ছে ৫ টাকার বিনিময়ে। সকাল ৮ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত দেওয়া হয় কুপন এবং ভোগ খাওয়ানো শুরু হয় ১২.৩০ টা থেকে। রাতের কুপন দেওয়া হয় বিকেল ৪ টে থেকে ৫ টা পর্যন্ত খাওয়ানো শুরু হয় রাত্রি ৮.৩০ থেকে। এছাড়াও যাঁরা অসুস্থ বাড়ি থেকে বের হতে পারেন না বা যাঁদের কেউ নেই তাদের জন্য করা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।অন্নজ্যোতি প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে প্রতিদিন দু’বেলা খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে তাদের বাড়িতে। ট্রাস্ট কমিটির সভাপতি তথা বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস জানান, পুরোটাই পরিচালনা হয় ট্রাস্ট কমিটির সকলের সহযোগিতায়। শুধুমাত্র খাবার যাতে নষ্ট না হয় এবং কেউ যাতে মায়ের ভোগ খেতে এসে ফিরে না যান সকলে যাতে ভোগ পান তাই সংখ্যাটা হিসেব রাখার জন্যই এই ১০ টাকা ও ৫ টাকার কুপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও দুঃস্থ মানুষদের বিনা পয়সায় খাওয়ানো হয় তাদের কোনও কুপন লাগে না।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে একদিকে যেমন মন্দিরে আসা সকলেই দেবীর ভোগ গ্রহণ করতে পারছেন তেমনই মুখে হাসি ফুটেছে বহু দুঃস্থ মানুষেরও। পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন বহু মানুষ।