খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন:
রোজকার খাদ্যতালিকায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যোগ করতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হল মিষ্টি আলু, গাজর, পালং শাক, সাইট্রাস ফ্রুট এবং বেরি জাতীয় ফল। ফ্রি র্যাডিক্যালের জন্য হওয়া অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে এটি ত্বককে বাঁচাতে পারে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাতে রাখা শুরু করতে হবে। আর এই উপাদান পাওয়া যায় আখরোট এবং ফ্লাক্সসীডে। যা প্রদাহ কমায় এবং ত্বককে হাইড্রেট করে। ভিটামি এ, সি এবং ই সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি বেশি পরিমাণে খেতে হবে। টিস্যু হিলিং এবং কোলাজেন সিন্থেসিসের জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন খেতে হবে।
advertisement
স্যালিসাইলিক অথবা গ্লাইকোলিক অ্যাসিড:
বার্ধক্যের ছাপ রুখতে সপ্তাহে ২ বার রাতে ঘাড়ে গ্লাইকোলিক অথবা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড লাগাতে হবে। আসলে ঘুমের সময় এই এক্সফোলিয়েটিং অ্যাসিড স্কিন রিপেয়ার করে। ত্বক হয় তারুণ্যে ভরা। তাছাড়া ত্বক সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলেও ক্ষতি হয় না। তবে এই অ্যাসিড ব্যবহার করার আগে ভাল ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করে নিতে হবে।
রেটিনয়েডের ব্যবহার:
রেটিনয়েড এমন একটি উপাদান, যা কার্যকর ভাবে বলিরেখা কমায়। কোলাজেন উৎপাদন বাড়ে। আর এটা যেহেতু সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে অতীব সংবেদনশীল, তাই শুধুমাত্র রাতেই এটি ব্যবহার করা উচিত। ফলে রেটিনয়েড লাগিয়ে বাইরে যাওয়া চলবে না।
ময়শ্চারাইজার ব্যবহার:
হায়ালুরোনিক অ্যাসিড বলিরেখা, ত্বকের ভাঁজ হ্রাস করে। তাই সব সময় একটা ভাল ময়শ্চারাইজারের সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। তবে রাতেই এটি ব্যবহার করা উচিত। হায়ালুরোনিক অ্যাসিড আর ময়শ্চারাইজার একযোগে প্রদাহ থেকে মুক্তি দেয়। কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় আর ত্বককে হাইড্রেট করে।
ত্বক পরিচর্যা:
ত্বক পরিচর্যার ক্ষেত্রে প্রথমে একটি মাইল্ড ক্লেঞ্জার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। তারপর নায়াসিনামাইড অথবা ভিটামিন সি-যুক্ত সিরাম ব্যবহার করতে হবে। সবশেষে এসপিএফ ৫০-যুক্ত একটি সানস্ক্রিন মেখে নিতে হবে। আর রাতের রুটিনের জন্য প্রথমে একটি জেন্টল ক্লেঞ্জার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। তারপর সপ্তাহে ২ বার গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, দৈনিক রেটিনয়েড এবং হায়ালুরোনিক অ্যাসিড-যুক্ত একটি ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা আবশ্যক।