বৌবাজারের মতিলালবাড়ির পুজোয় বিশেষ অন্নভোগের আয়োজন করা হয়। প্রতিপদ থেকে দশমী পর্যন্ত দেবী দুর্গাকে নানা ধরনের অন্নভোগ দেওয়া হয়। তালিকায় রয়েছে ভাত, খিচুড়ি, পোলাও, ফ্রায়েডরাইস, ঘি-ভাত। তরিতরকারির মধ্যে শুক্তো, ডাল, পাঁচরকম ভাজা, অন্তত চারটি করে পদ থাকে। কপির ডালনা, ছানার কোপ্তা, ধোঁকার ডালনা, বাঁধাকপি, লাউ ও চালকুমড়োর ঘণ্ট, পাঁপড়ের ডালনা। আর থাকে চাটনি, পায়েস ও দু'তিন রকমের মিষ্টি। দশমীতে পান্তা ভাত, খিচুড়ি, ডাল, কয়েকটি তরকারির পদ। চাটনির রকমফের হয় জলপাই, আমষি, কাঁচাতেঁতুল অথবা ক্যাপসিকাম দিয়ে। মিষ্টিমুখ অবশ্যই। সবশেষে থাকে পান।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোয় মিষ্টিমুখ মাস্ট, চেখে দেখুন মিষ্টি ছাড়া রসগোল্লা!
অনেকেই বলেন বিরিয়ানি আবার কখনও নিরামিষ হয় নাকি? কিন্তু মতিলালবাড়ির বিশেষ এই অন্নভোগ কিন্তু হার মানাবে চেনা মাংসের বিরিয়ানিকেও। এক ঝলকে রেসিপি জেনে নিন। পুজোর যে কোনও দিন ঘরেই বানিয়ে ফেলুন এই বিশেষ পদ।
উপকরণ
• বাসমতি চাল • মাঝারি সাইজের আলু • পনির (বড় বড় টুকরো করে কাটা) • কাজুবাদাম • সা-জিরে • সা-মরিচ • জয়িত্রি • জায়ফল গুঁড়ো
• কাশ্মিরী লঙ্কাগুঁড়ো • স্বাদমতো নুন, কেওড়াজল, গোলাপজল, মিঠে আতর • আন্দাজমতো সাদা তেল ও ঘি
প্রণালী
• সামান্য দুধে জাফরান ভিজিয়ে তার সঙ্গে মেশাতে হবে কেওড়াজল, গোলাপজল, মিঠে আতর।
• বাসমতি চাল ধুয়ে, জল ঝরিয়ে নিতে হবে।
• সাদা তেলে গোটা গরমমশলা ফোড়ন দিন।
• পনিরের টুকরোগুলো হাল্কা আঁচে সোনালি রং আসা পর্যন্ত ভেজে নিন।
• আলু সেদ্ধ করে দু’ টুকরো করে কেটে হাল্কা আঁচে ভেজে নিন।
• এ বার তেলে সা-জিরে, সা-মরিচ, জয়িত্রি, জায়ফলগুঁড়ো, সামান্য কাশ্মিরী লঙ্কাগুঁড়ো
দিয়ে তার সঙ্গে চাল দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করতে হবে।
• পরিমাণ মতো নুন দিতে হবে।
• এবার যত পরিমাণ চাল, তার দ্বিগুণ পরিমাণ জল দিয়ে ফুটতে দিতে হবে।
• ফুটে চাল ও জল সমান হলে আলু ও পনির মেশাতে হবে।
• এর পর জাফরানের মিশ্রণ ঢেলে দিন।
• ঘি ও কাজুবাদাম ছড়িয়ে গ্যাসের আঁচ নিভিয়ে দিন।
• পাত্রের মুখ ভাল করে বন্ধ করে ঢাকার ওপরে ভারী কিছু দিয়ে রেখে দিন।
আরও পড়ুন: ভোগের খিচুড়ি ছাড়া পুজো হয় নাকি? শিখুন বনেদিবাড়ির আসল রেসিপি