বিজয়া দশমীতে তাই মিষ্টিমুখ আর অতিথি আপ্যায়ণ পিঠোপিঠি ব্যাপার। এক্ষেত্রে এক সময়ে রেওয়াজ ছিল খুব স্বাভাবিক ভাবেই বাঙালি বাড়িতে হাতে তৈরি মিষ্টি পদের, দোকান-বাজারে মিষ্টান্নের অপ্রতুলতাই এর মূল কারণ। তাছাড়া, নিজে হাতে কিছু করলে তার মধ্যে যে আন্তরিকতাটুকু থাকে, তা কী আর বাইরে মেলে!
দশমীতে আবার ঘরে তৈরি মিষ্টির কথা বললেই সবার আগে ওঠে নারকেল নাড়ুর প্রসঙ্গ। তবে কি না ওটা তো সব বাড়িতেই প্রায় হবে! তাতে আর নতুন কী! এদিকে কবি যে বলে গিয়েছেন বাসনার সেরা বাসা রসনায়, তার কী হবে?
advertisement
ঠিক এই জায়গাতেই এবছর সঙ্গে থাকুক সাবেক বাংলার ক্ষীরসাপাতি নাড়ু। ক্ষীর দিয়ে তৈরি বলে এই নাম, দেখে নেওয়া যাক এবার কীভাবে বানাতে হবে।
উপকরণ
ক্ষীর তৈরির জন্য
দুধ- ৩ লিটার
ছোট এলাচ- গোটা দশেক
প্রণালী
- দুধ জ্বালে বসিয়ে ফুট খেলে এলাচদানা দিয়ে ক্রমাগত নেড়ে একেবারে শুকিয়ে ফেলতে হবে। তৈরি হবে খোয়া ক্ষীর। ব্যাপারটা সময়সাপেক্ষ হক কথা, তাই খোয়া ক্ষীর বাজার থেকে কিনেও আনা যায়। তার পর? ক্ষীরের আয়োজন তো হল, আর নাড়ু?
এবার আসা যাক সেই বিষয়েই! বাজার থেকে ক্ষীর কিনলে কী করতে হবে, দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণ
খোয়া ক্ষীর- ৫০০ গ্রাম
কাজুবাদাম- ১ কাপ
চিনি- ১ কাপ
ঘি- ৩ টেবিল চামচ
প্রণালী
- প্রথমে একটা পাত্রে জল গরম করে তার মধ্যে চিনি দিয়ে ফুটিয়ে রস তৈরি করে নিতে হবে ঘন করে।
- কাজুবাদাম বেটে নিতে হবে।
- খোয়া ক্ষীর আর কাজুবাদাম বাটা ভাল করে ঠেসে মাখতে হবে। চাইলে এই পর্যায়ে ক্ষীর-বাদামের তালে কয়েক ফোঁটা গোলাপি আতর দেওয়া যায়।
- এবার ইচ্ছে মতো মাপে গোল গোল নাড়ু করে নিতে হবে।
- কড়ায় ঘি গরম করে নাড়ু ভেজে নিতে হবে হালকা হালকা সোনালি ধরনে।
- ভাজা গোলা চিনির রসে ফেললেই ক্ষীরসাপাতি নাড়ু তৈরি!
