সাংহাইয়ের এশিয়া ইউরোপ বিজনেস স্কুলের মার্কেটিংয়ের অধ্যাপক জিহুয়া ওয়াংয়ের নেতৃত্বাধীন এই সমীক্ষা ২৭৭ জন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে পরিচালনা করা হয়েছিল। ক্যাজুয়াল এবং ফর্ম্যাল এই দুই পোশাকধারার ভিত্তিতে পরখ করে দেখা হয়েছিল তাদের খাবার নিয়ে প্রবণতা। এ ক্ষেত্রে সমীক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের ভেঙে নিয়েছিলেন দুই ভাগে- এক দল যাঁরা পরে রয়েছেন বিজনেস স্যুট বা জিন্স; অন্য দল যাঁরা পরে রয়েছেন ক্যাজুয়াল কোনও পোশাক। এর পর বিকেলের জলখাবারে পরিবেশন করা হয় পটেটো চিপস আর চেরি টম্যাটো। উদ্দেশ্য ছিল কোন দল স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নিচ্ছে, সেটি খতিয়ে দেখা!
advertisement
ডেইলি মেলে প্রকাশিত খবর মোতাবেকে যাঁরা ফর্ম্যাল পোশাক পরে রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অর্ধেক কোনও কিছুই খেতে চাননি। বাকি অর্ধেকের ২ শতাংশ পটেটো চিপস বেছে নিয়েছিলেন। যাঁরা জিন্স পরে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৪০ শতাংশ দুই ধরনের খাবারই খেয়েছেন। আর যাঁরা ক্যাজুয়াল পোশাক পরে ছিলেন, সবারই মানসিকতা ছিল পটেটো চিপস খাওয়ার দিকে!
এই পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে সমীক্ষকরা বলছেন যে যাঁরা ফর্ম্যাল পোশাকে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন, তাঁরা অন্যদের তুলনায় স্বাস্থ্যকর খাবার বেশি খেয়ে থাকেন। অন্য দিকে, ক্যাজুয়াল পোশাক যাঁরা পরেন, তাঁদের তুলনামূলক ভাবে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দিকে ঝোঁক বেশি থাকে। নিঃসন্দিগ্ধ হওয়ার জন্য পরে আরও ২৮৮ জনকে নিয়ে এই সমীক্ষা চালানো হয়। দেখা যায় যে পরের বারেও একই রকম তথ্য উঠে এসেছে!