শরীরের উপর এই খাবারগুলি কীভাবে প্রভাব ফেলে?
আসলে এই ক্যালোরিহীন খাবারগুলি (Zero calorie foods) ফাইবারে ভরপুর। আর এগুলো খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। অর্থাৎ বারবার খিদে পায় না। এর পাশাপাশি এই ধরনের খাবার আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টিরও জোগান দেয়। তবে হ্যাঁ, এই ধরনের খাবার খাদ্যতালিকায় যোগ করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
advertisement
বাড়িতে বানানো পনির:
এই খাবারের মধ্যে অন্যতম হল বাড়িতে বানানো পনির (Homemade Paneer)। এতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম (Low Calorie)। এছাড়া বাড়িতে বানানো পনিরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি এবং ফসফরাসের মতো নিউট্রিয়েন্ট থাকে। আর থাকে প্রোটিন, যা খিদে মেটাতে সাহায্য করে।
বীজ জাতীয় খাবার:
এই ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক ডায়েটারি ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, শরীরে দারুণ পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে এই ধরনের জাতীয় খাবার। এর মধ্যে অন্যতম হল- তরমুজ, কুমড়ো, সূর্যমুখী প্রভৃতির বীজ। আসলে বীজ জাতীয় খাবারে থাকে স্বাস্থ্যকর উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। যা আমাদের ইমিউনিটি ও মেটাবলিজম বাড়াতে সহায়তা করে। এখানেই শেষ নয়, এই ধরনের খাবারে থাকা ডায়েটারি ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায়, যার ফলে দ্রুত কমে ওজন (Weight Loss)।
ক্লিয়ার স্যুপ:
দেহের বাড়তি মেদ ঝরাতে চাইলে ক্লিয়ার স্যুপ (Soup) দারুণ একটি খাবার। এমনকী গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ক্লিয়ার স্যুপ অথবা হালকা স্যুপ জাতীয় খাবার অন্যান্য খাবারের তুলনায় বেশি পেট ভরায়। তাই ক্যালোরির বিষয়ে চিন্তা না-করে সবজি অথবা মাংস দিয়ে তৈরি হালকা স্যুপ যত খুশি খাওয়া যেতে পারে। এতে তরতরিয়ে ঝরবে ওজন।
আরও পড়ুন: Other roles of Salt: ডিমের গুণমান যাচাই অথবা পোকামাকড়ের উপদ্রব, গৃ্হস্থালির হাজারো কাজে নুনই ভরসা
ডিম:
আমরা সকলেই জানি যে, ডিম খুবই স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার। কম-বেশি সকলেই ডিম খেতে পছন্দ করেন। আর দেহের ইমিউনিটি এবং শক্তি বাড়াতে ডিমের জুড়ি মেলা ভার। এছাড়াও এই খাবারে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, যা আদতে প্রোটিন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যাঁরা প্রাতরাশে ডিম খান, তাঁদের বিএমআই অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কম।
মাছ:
যাঁরা মাছ খেতে ভালোবাসেন, তাঁরা যত ইচ্ছে খেতে পারেন। কারণ মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। তাছাড়াও রয়েছে প্রোটিন। ফলে মাছ খেলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। সেই সঙ্গে হৃদযন্ত্র এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে। ফ্যাটি ফিশ আবার শরীরের পর্যাপ্ত পুষ্টির জোগান দেয়। সেই সঙ্গে খিদে মেটায় এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে মাছ।