পাঁচ ফোড়নের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, এক মশলায় একশো লাভ! ওষধি গুণে ভরপুর জিরে ২২টি রোগের ওষুধ

জিরে। ছোট্ট একটা মশলা। কিন্তু উপকার বিশাল। ভারতে রান্নায় পাঁচফোড়ন ব্যবহার করা হয়। পাঁচ বলতে পাঁচ রকমের ‘মশলা’ আর ফোড়ন মানে ‘তড়কা’।

সোজা কথায়, আলাদা আলাদা পাঁচটি বীজ মিশিয়ে পাঁচফোড়ন তৈরি হয়। এর মধ্যে জিরে অন্যতম। পাঁচফোড়ন শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ায় তাই নয়, স্বাস্থ্যও ভাল রাখে। জিরেতে আয়রন, কপার, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক এবং আরও অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা শরীরের জন্য অপরিহার্য।

নগর বালিয়ার সরকারি আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা সিং আয়ুর্বেদে এমডি এবং মেডিসিনে পিএইচডি করেছেন। তিনি লোকাল 18-কে জানান, জিরে ঔশধি গুণে পরিপূর্ণ।

আয়রন, কপার, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, পটাসিয়ামের মতো অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। উকুন, চর্মরোগ, হেঁচকি, নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ, বমি ও ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা বা পাকস্থলী, দাঁত, নাক, কান, মহিলাদের দুধ বৃদ্ধির সমস্যা, ফোলা, লিউকোরিয়া, চোখ, রাতকানা, ম্যালেরিয়া, মূত্রনালীর রোগ, পাইলস, বিষাক্ত প্রাণীর কামড়-সহ ২২টি রোগের চিকিৎসায় কার্যকর ভুমিকা নেয় জিরে।

যাঁরা কোলেস্টেরলে ভুগছেন তাঁদের জন্য জিরে আশীর্বাদস্বরূপ। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন তো করেই, পেট ভাল রাখতে ভেষজ হিসেবেও জিরে ব্যবহার করা হয়।

প্রিয়াঙ্কা সিং বলেছেন, ঔষধি গুণে পূর্ণ ভেষজগুলির বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। তাই যদি কারও দীর্ঘস্থায়ী রোগ বা অন্য কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে একজন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করার পরেই জিরে ব্যবহার করা উচিত।

সঙ্গে তিনি সাবধান করে দিয়ে আরও বলছেন, জিরে ২২টিরও বেশি রোগে ব্যবহার করা গেলেও কখনও অতিরিক্ত ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে লাভের বদলে ক্ষতি হতে পারে।

বদহজম থেকে মুক্তি দেয়। জিরেতে উপস্থিত গুণাগুণ ঘুমের সমস্যা দূর করতে সহায়ক। জিরে ভেজানো জলে মেলাটোনিনও থাকে, ভাল ঘুম হয়।

কারণ শুধুমাত্র একজন চিকিৎসকই বয়স এবং রোগ অনুযায়ী সঠিক ডোজ বলতে পারেন। অত্যধিক জিরে খেলে লিভার, কিডনি, ত্বকের অ্যালার্জি, রক্ত ​​জমাট বাঁধার মতো সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়।