খুশকির উপর তেল মাখলে মাথার ত্বকে চুলকানি হতে পারে। এছাড়া অন্য সমস্যা হয় না। তাই খুশকি হলে বিনা বাধায় তেল মাখা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, খুশকি হলে সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ দিন মাথার ত্বকে তেল দিয়ে মাসাজ করতে হবে। তবে সঠিক উপাদান-সহ তেল বেছে নেওয়াটা জরুরি। এটা শুষ্ক মাথার ত্বক প্রতিরোধ করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।
advertisement
আরও পড়ুন- ২০২৩-এ বাজার কাঁপাবে এই স্কিন কেয়ার ট্রেন্ড, প্রয়োজন কেবল হেঁসেলের এই কটি জিনিস!
খুশকি কেন হয়: খুশকি মানে চুল সাদা ফ্লেকে ভরে যায়। মাথার ত্বকে চুলকানি হয়। শীতকালে ত্বক শুষ্ক থাকে। তাই এই সময় খুশকি বেশি হয়। তবে চুলে ভুল পণ্য ব্যবহারের কারণেও এমনটা হতে পারে। খুশকি খুব সাধারণ ব্যাপার। সংক্রামক নয়। সমস্যা হল, খুশকি থেকে গুরুতর চর্মরোগ হতে পারে। সাধারণ শ্যাম্পু দিয়েই খুশকির সমস্যা মিটিয়ে ফেলা যায়। কাজ না হলে ওষধিগুণ যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
লক্ষণ: মাথার ত্বক, চুল, ভুরু, গোঁফ, দাড়ি বা কাঁধে সাদা দাগ। এর সঙ্গে মাথার ত্বকে চুলকানি। খুশকির হাত থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। শ্যাম্পুতেই কাজ হয়। তবে অবস্থার পরিবর্তন না হলে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে।
কারণ: বিভিন্ন কারণে খুশকি হতে পারে। এর মধ্যে তৈলাক্ত এবং শুষ্ক ত্বক প্রধান কারণ। এছাড়া ম্যালাসেজিয়া নামক ছত্রাকের কারণেও মাথায় খুশকি হয়। এমনটা হলে ডার্মাটাইটিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, সোরিয়াসিস বা ত্বকের অন্যান্য সমস্যাতেও খুশকি হতে পারে।
আরও পড়ুন- বড়দিনে ডেট? নজরকাড়া চোখের মেকআপের জন্য এই কাজগুলো করতেই হবে, জেনে নিন
ঝুঁকির কারণ: যে কারও খুশকি হতে পারে। তবে বয়স প্রধান ফ্যাক্টর। খুশকি সাধারণত তরুণ বয়সে শুরু হয় এবং মধ্য বয়স পর্যন্ত চলতে থাকে। এর মানে এই নয় যে বয়স্কদের খুশকি হয় না। কারও কারণ সারাজীবন খুশকির সমস্যা থাকে। মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের খুশকি বেশি হয়। পারকিনসন এবং অন্যান্য রোগ যা স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে সেগুলিও খুশকির ঝুঁকি বাড়ায় বলে মনে হয়। এইচআইভি বা দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের কারণেও এমনটা হতে পারে।