সাধারণত ভারতের মতো উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ার দেশে, সামান্য শীত বাড়লেই মানুষের মধ্যে অসুস্থতা বেড়ে যায়। সব থেকে বেশি সমস্যা হয় শিশু ও বৃদ্ধদের। তাই এই সময় তাঁদের প্রতি অতিরিক্ত যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।
advertisement
শীতের দাপট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে বাতাসে দূষণের পরিমাণ। অধিকাংশ মানুষই এই সময় শ্বাসকষ্ট, কাশি, সর্দি, মাথাব্যথা, চোখের সংক্রমণ, স্নায়ুর সমস্যায় ভোগেন। অনেকেরই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বেড়ে যায়। আবার মানসিক অসুস্থতাও অনেকের মধ্যে বেড়ে যায়।
উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকি স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানান হয়েছে, তাঁরা যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন। অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ যেমন রয়েছে তেমনই চিকিৎসকরাও প্রস্তুত। জনগণকে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিতে তাঁরা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে সতর্ক থাকতে হবে সাধারণ মানুষকেও।
মরশুমি রোগভোগ এড়াতে কিছু সতর্কতা গ্রহণ করা প্রয়োজন
বারাবাঁকির মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. অবধেশকুমার যাদব বলেন, ঠান্ডা বাড়লে কিছু রোগ বাড়ে। যেমন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বা হৃদরোগ থাকলে তা গুরুতর আকার নিতে পারে এই সময়। সেই সঙ্গে বেড়ে যেতে পারে সংক্রমণও। কোনও রকম রোগে আক্রান্ত হলে, কখনই এই সময় খুব সকালে উঠে হাঁটতে বেরোন উচিত নয়। কোথাও যাওয়ার আগে অবশ্যই প্রয়োজনীয় গরম জামা-কাপড় পরে নিতে হবে। কোনও রকম ঠান্ডা জিনিস ব্যবহার না করাই ভাল। জলও সামান্য গরম করে পান করতে হবে। শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা প্রয়োজন। খুব দরকার না হলে তাদের ঘর থেকে বের করার প্রয়োজন নেই। বেরলেও উপযুক্ত গরম কাপড় যেন থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।