অনেকেই জানেন না, আঙুল ফাটানোর এই অভ্যেস আসলে শরীরের পক্ষে ভাল নাকি খারাপ! অনেকেই আঙুল ফাটিয়ে স্বস্তি অনুভব করেন। ভাবেন, এমনটা করলে হাতের সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। অনেকে আবার এমনও আছেন, কোনো কাজ করার আগে হাতের আঙুল ফাটিয়ে নেন। ভাবেন, তাতে হাতে আলাদা একটা জোর পাওয়া যায়!
আঙুল ফাটালে মট মট করে একরকম আওয়াজ হয়। সেই আওয়াজটাই পছন্দ করেন বহু মানুষ। আওয়াজ না হলে আবার অনেকে হতাশ হন। আর আওয়াজ হলে সেটা মনে যেন একরকম স্বস্তি দেয়। তবে আঙুল ফাটানোর এই অভ্যেস কিন্তু মোটেও ভাল নয়।
advertisement
আরও পড়ুন- গাঢ় নাকি হালকা, কোন রংয়ের ডিমের কুসুম খাবেন? কেনই বা হয় রঙের হেরফের?
আমাদের আঙুলের মাঝের জয়েন্টে একরকম তরল থাকে। এই তরলকে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড বলে। আঙুল ফাটানোর সঙ্গে সঙ্গে এই তরলে থাকা গ্যাস বেরিয়ে আসে, আর তাতে থাকা বুদবুদ ফাটতে শুরু করে। আঙুল ফাটালে যে শব্দ হয় তা মূলত ওই বুদবুদের ফেটে যাওয়ার ফলেই হয়।
কিছু মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, আঙুল ফাটালে আর্থারাইটিসের সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায়। তবে গবেষণার ফল বলছে, এটি একেবারে অমূলক ভাবনা। আঙুল ফাটানোর স্বভাবের জেরে সাইনোভিল ফ্লুইড আঙুলেের জয়েন্টে কমতে শুরু করে।
আরও পড়ুন- বিয়ের প্রথম রাত? ভুলেও করবেন না ‘এই’ কাজ… ভেস্তে যেতে পারে গোটা জীবন
একবার আঙুল ফাটানোর পর আবার ফাটাতে হলে আপনাকে অন্তত ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। আঙুলের জয়েন্টে সাইনোভিল ফ্লুইড গ্রিজিং-এর কাজ করে। আঙুল ফাটানোর অভ্যেসের জন্য সেই ফ্লুইড কমতে শুরু করলে কিন্তু বিপদ।