চলতি বছরের দীপাবলিতেও তার অন্যথা হচ্ছে না। বাঙালির দিক থেকে যদি কালীপুজো বলে ধরতে হয়, তা হলে সেই পুণ্য লগ্ন সপ্তাহান্তে পড়ায় অনেকেই বেরিয়ে পড়ছেন শর্ট ট্রিপে। আর যদি সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ৫ দিনের দিওয়ালি উৎসবের কথা ধরা হয়, সে ক্ষেত্রে ছুটির মেয়াদ তো আরও বেশি!
মজার ব্যাপার, OYO হোটেল অ্যান্ড হোম এ প্রসঙ্গে এক চমকপ্রদ তথ্য জানিয়েছে। বর্তমানে দেশের পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকা এই সংস্থা জানিয়েছে যে চলতি বছরের দিওয়ালিতে হয় রোড ট্রিপ, নয় তো সাগরসৈকতে যেতেই বেশি উৎসাহী দেশের মানুষ।
advertisement
OYO প্রকাশিত এই খবর বলছে যে দেশের মধ্য়ে রোড ট্রিপের দিক এবং সার্বিক ভাবে সব চেয়ে জনপ্রিয় ছুটির গন্তব্যের তালিকায় রয়েছে জয়পুর, কেরল, গোয়া, বিশাখপত্তনম আর বারাণসী। উত্তর ভারতের একটা বড় অংশ, বিশেষ করে দিল্লি আর লখনৌ থেকে জয়পুরে ঘর বুকিং হয়েছে দীপাবলির মরশুমে সব চেয়ে বেশি। আবার দেশের দক্ষিণ প্রান্তের কথা ধরলে চেন্নাই আর বেঙ্গালুরুর বাসিন্দারা বেশি ঘর বুক করেছেন কেরল এবং কোচির নানা গন্তব্যে, রয়েছে দক্ষিণের জনপ্রিয় সমুদ্রতটগুলোও চাহিদায়। দেশের প্রায় সব জায়গা থেকেই ঘর বুক হয়েছে গোয়ায়, তবে তার মধ্যেও পুণে, বেঙ্গালুরু আর হায়দরাবাদ থেকে গোয়াযাত্রীরা সংখ্যায় বেশি!
তা বলে এটা মনে করার কারণ নেই যে শৈলশহরগুলো জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। সাগরসৈকতের মতো না হলেও ধীরে ধীরে দেশের নানা পর্বতাঞ্চলে বেড়ে চলেছে পর্যটক সমাগম, জানিয়েছে OYO। সিমলা, মানালি, মুন্নার, উটি, গ্যাংটকে লকডাউনের পরেও তেমন পর্যটকের ভিড় হয়নি, তবে দীপাবলির ছুটিতে এই জায়গাগুলোতেও ঘর বুকিং হয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। বিশেষ করে শৈলশহরের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে সিমলা। দিল্লি, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, কলকাতা- দেশের এই শহরগুলো থেকে পাহাড়ে যাওয়ার চাহিদা তাদের নজরে এসেছে বলে জানাচ্ছে OYO।