রেশমীর কথায়, ‘‘মেটাবলিজম রেট বাড়ে সারাদিনের খাবারের উপর নির্ভর করে। যা আমরা খাই, তা শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। তাই ভাল জলখাবার খাওয়া খুব দরকার। কারণ মেটাবলিজম রেট সবথেকে বেশি নির্ধারণ করা যায় জলখাবারের পরিপ্রেক্ষিতে। তবে তার মধ্যে কোনও কোনও ধরনের খাবার খাওয়া উচিত নয় জলখাবারে। কারণ সারারাত ধরে ক্লান্ত শরীর ঘুমিয়ে থাকে, সকালে ওঠার পর সেই শরীর সবরকম কাজের জন্য প্রস্তুত নয়। গোটা হজম ক্ষমতা তখন মাত্র শুরু হয়। সেই তালিকা দেওয়ার চেষ্টা করছি সংক্ষেপে।’’
advertisement
১. ছুটির দিনে লুচি পরোটা আলুভাজা খান অনেকেই। একটা দু’টো দিন এই জলখাবারে মন ভাল থাকে, তাতে ক্ষতি নেই। কিন্তু রোজ এই জলখাবার খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে তেল অতিরিক্ত পরিমাণ ব্যবহার করা হয়। জলখাবারে তেলেভাজা জিনিস না খাওয়াই শ্রেয়। সক্কাল সক্কাল এত তেল হজম করার ক্ষমতা থাকে না শরীরের। ঝুড়িভাজা, নিমকি, চানাচুরও এই তালিকায় পড়বে।
আরও পড়ুন: রাতে তেতো খেলে আদৌ শরীরে ক্ষতি হয়? বড়রা কেন বারণ করেন? শুনুন চিকিৎসক কী বলছেন
২. সকালবেলা প্রোটিনের মাত্রা যেন সমতা বজায় রেখে শরীরে যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। হাই প্রোটিন সকালবেলা খাওয়া উচিত নয়। কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিনের ব্যালেন্স থাকতে হবে। যেমন ডিম বা দুগ্ধজাত প্রোটিন অর্থাৎ ছানা, দুধ বা দই খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু অন্যান্য প্রাণিজাত প্রোটিন বাদ দেওয়া উচিত, যেমন মাংস। অনেকেই আজকাল সকালবেলা চিকেন সসেজ দিয়ে জলখাবার সারেন। সেটা মোটেও ভাল নয়।
৩. বিভিন্ন ধরনের প্রসেসড এবং প্রিজার্ভেটিভ দেওয়া খাবার সকাল সকাল খেলে হজমের সমস্যা বেড়ে যাবে।
ভাল জলখাবার মানেই ভারী হতে হবে কিন্তু তাতে থাকবে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন-মিনারেলের সঠিক অনুপাতের মিশ্রণ। একটু ফলও থাকতে হবে জলখাবারে। ডিম থাকলে দই বা দুধ বাদ। আবার দই বা দুধ থাকলে ডিমটা বাদ।