ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, কপার, আয়রন-সহ অন্যান্য পুষ্টিমূল্যে ভরপুর কারিপাতা ৷ এর ফলে বাড়তি ওজন হ্রাস, মধুমেহ নিয়ন্ত্রণে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ-সহ একাধিক শারীরিক সমস্যায় কারিপাতা কার্যকরী ৷
রান্নায় কারিপাতা দিলে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লাইসেরাইডের মাত্রা কমতে সাহায্য করে ৷ সেইসঙ্গে হৃদযন্ত্রের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয় ৷
সম্বর, চাটনি, তড়কা ডালের মতো রেসিপিতে কারিপাতা দেওয়ার রীতি অনেক দিন ধরে প্রচলিত৷ এ ছাড়া লস্যি, ছাঁচের মিশ্রণেও কারিপাতা দেওয়া যায় ৷ বাটারমিল্ক বা ছাঁচের সঙ্গে কারিপাতা মিশিয়ে খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা কমে যায় ৷ ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশয়ের মতো রোগ নিয়ন্ত্রিত হয় কারিপাতায় ৷ সকালে খালি পেটে খাওয়া যায় কাঁচা কারিপাতাও ৷
advertisement
আরও পড়ুন : ‘লুচিশীল বাঙালি’ হতে চান? জেনে নিন ডুবো তেলে ভাজার সঠিক নিয়ম
প্রেগন্যান্সিতে অনেক মহিলারই সকালে বমি হয় বা গা গোলানর সমস্যা দেখা দেয় ৷ এই ধরনের উপসর্গ-সহ মর্নিং সিকনেসের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় কারিপাতার ব্যবহার ৷
কারিপাতায় কপার, আয়রন, জিঙ্কের মতো উপাদান থাকায় মধুমেহ নিয়ন্ত্রিত হয় ৷ ভিটামিন এ থাকায় চোখের জন্যও কারিপাতা উপকারী ৷ চোখের ছানিপড়ার আশঙ্কা কমে ৷
কারিপাতা থেকে তৈরি এসেনশিয়ার অয়েল স্ট্রেস বা মানসিক চিন্তা বা উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে ৷ অবসাদ কমাতেও কারিপাতার সুবাস জুড়িহীন ৷
আরও পড়ুন : সর্দিকাশি, গলাব্যথার মতো সমস্যায় অন্ধের ষষ্ঠি ভেষজ ষষ্টিমধু ব্যবহারে বিপত্তিও আছে! জানেন তো?
ত্বকের যে কোনও সংক্রমণে কারিপাতার পেস্ট বা মিশ্রণ খুব উপকারী ৷ ছোটখাটো পুড়ে যাওয়ার ক্ষতেও ব্যবহার করা হয় কারিপাতার মিশ্রণ ৷
অকালে চুল পড়ে যাওয়া বা অকালপক্বতার সমস্যাতেও কারিপাতা মুশকিল আসান ৷ নারকেল তেলের সঙ্গে কয়েকটি কারিপাতা ফুটিয়ে মাখার রীতি প্রচলিত দীর্ঘ দিন ধরেই ৷