TRENDING:

শীতকালে সর্দি কাশিতে খুব কষ্ট পাচ্ছেন , জেনে নিন এর কারণ কী

Last Updated:

শীতকালে দিন ছোট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা হ্রাস পায় এবং আমাদের মধ্যে ঠান্ডা লাগা ও ফ্লুয়ের প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়। problems of cold and cough in winter

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
শীতকাল এলেই আমরা নিজেদের এবং পরিবারের লোকেদের ব্যাপারে অনেক বেশি সতর্ক হয়ে যায় কারণ এই সময় বিভিন্ন ধরণের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে , বিশেষ করে ঠান্ডার রোগ। আমাদের অনিয়মিত জীবনধারা , ঘরকুনো হওয়া এবং দুর্বল ইমমুনিটির কারণে আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকি।
advertisement

এই সময় নাকের সহজাত প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং এক্সট্রা সেলুলার ভেসিকলের শক্তি এবং পরিমাণও হ্রাস পায় । এক্সট্রাসেলুলার ভেসিকেলগুলি ক্ষুদ্র মেমব্রেন বাউন্ড পার্টিকেল যা ডিএনএ, আরএনএ এবং প্রোটিন বহন করে এবং অ্যান্টিভাইরাল প্রতিক্রিয়া ট্রিগার করার জন্য কোষ দ্বারা নির্গত হয়। অনেক ক্ষেত্রে ভাইরাসটি নাকের সঙ্গে লেগে থাকে এবং তারপর নাকের কোষগুলিকে সংক্রামিত করে, ধীরে ধীরে এগুলি বৃদ্ধি পায় বলে শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।

advertisement

শীতকালে দিন ছোট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা হ্রাস পায় এবং আমাদের মধ্যে ঠান্ডা লাগা ও ফ্লুয়ের প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়। EVs ভাইরাসগুলিকে সংক্রামিত কোষে আবদ্ধ হতে বাধা দিতে দেয় ,কিন্তু ঠান্ডা তাপমাত্রায় তারা অনেকসময় দুর্বল হয়ে যায়। তখন ভাইরাসটি অদম্যভাবে মিউকোসায় আটকে যায়। সেক্ষেত্রে, ভাইরাস নাক বা নাসাল সেল দিয়ে প্রবেশ করে এবং সেজন্য নাক শরীরের অন্যান্য অঙ্গের তুলনায় দ্রুত প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

advertisement

সর্দি বা ফ্লুয়ের লক্ষণ কি কি :

গলা ব্যাথা, কাশি, ঠান্ডা লাগা , নাক ও চোখ দিয়ে জল পড়া , জ্বর , নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ,সারা শরীরে ব্যাথা, শারীরিক ক্লান্তি, দুর্বলতা , মাথা ব্যাথা ইত্যাদি।

নিজেকে রক্ষা করার উপায় :

  • বাইরে বেরোবার সময় মুখে মাস্ক লাগান এবং হাত সানিটাইজড করুন।
  • advertisement

  • শ্বাসনালীকে পরিষ্কার রাখতে সময় বের করে একটু স্টিম বা ভাপ নিন।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং আপনার ইমিউনিটিকে মজবুত করে তুলুন।
  • খাবারের তালিকায় অবশ্যই শীতকালীন ফল, শাক সবজিকে অন্তর্ভুক্ত করুন।
  • নিয়মিত শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করুন এবং নিজেকে ফিট রাখুন।
  • advertisement

  • ভালো ঘুমের দিকে নজর দিন কারণ এটা আপনাকে সুস্থ রাখবে এবং
  • ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে।
  • এই সময় শরীরকে গরম রাখতে উলের ক্যাপ, গ্লাভস এবং স্কার্ফ ব্যবহার করুন।
  • শরীরে জমে থাকা টক্সিনকে বের করতে পর্যাপ্ত পরিমানে জল পান করুন।

শীতকালে হাঁচি কাশির সমস্যা হলে ভাইরাসযুক্ত পার্টিকেলসগুলো আমাদের নাক এবং মুখ থেকে বেরিয়ে এসে দীর্ঘ সময়ের জন্য বাতাসে মিশে থাকে। ফলে আমাদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। শীতকালে ভাইরাসগুলি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কারণ গরম বাতাসের তুলনায় ঠান্ডা বাতাসে জলীয় বাষ্প বহন করার ক্ষমতা কম থাকে ,এবং পরিবেশকে শুষ্ক করে তোলে।

শীতকাল এলেই বাইরের কনকনে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে আমরা ঘরে বেশি সময় কাটাতেই পছন্দ করি। যার ফলে ঘরের ভিতরের বাতাসে থাকা ভাইরাসগুলো ভেন্টিলেশনের অভাবে বাইরে বেরোতে পারে না। আমাদের হাতের স্পর্শে বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় যেমন আলমারির হাতল, রান্নাঘরের দরজা ,জিনিসপত্রে জীবাণু লেগে থাকতে পারে। তাছাড়া বেশিরভাগ সময় বাড়িতে কাটাবনের জন্য বাইরের হাওয়া বাতাস আমাদের গায়ে লাগেনা। শুধু তাই না পর্যাপ্ত সূর্যরশ্মির অভাবে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দেয় যাতে আমাদের ইমিউনিটি আরও হ্রাস পায় এবং ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বিজয়াতেই ঘরে ঘরে 'টিকা'র প্রস্তুতি! গোর্খাদের এই উৎসব বাঙালির খুব চেনা
আরও দেখুন

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
শীতকালে সর্দি কাশিতে খুব কষ্ট পাচ্ছেন , জেনে নিন এর কারণ কী
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল