এখানে থাকল বিশেষ কিছু টিপস -
প্রকৃত ক্রিসমাস ট্রি আনুন :
বাজারের কৃত্তিম ক্রিসমাস ট্রি চেয়ে আসল ক্রিসমাস ট্রি বাড়িতে আনুন যা চিরজীবন আপনার সঙ্গে থাকবে। নকল ক্রিসমাস ট্রিগুলো মূলত নন ডিগ্রেডেবল পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্টস থেকে তৈরি। প্রকৃত গাছকে আপনি ভবিষ্যতে অন্য কাজেও লাগাতে পারবেন। কৃত্তিম গাছের তুলনায় এটি অনেক বেশি টেকসই হয় এবং আপনার আশেপাশের পরিবেশকেও সুস্থ এবং সুন্দর করে তোলে।
advertisement
রিসাইকেল্ড পেপার দিয়ে গিফটর্যাপ করুন :
আপনি কী জানেন যেগুলো দিয়ে আমরা সাধারণত গিফট প্যাক করি সেগুলো কিন্তু নন রিসাইক্লেবেল মানে পুনরায় আর কোন কাজে ব্যবহার করা যায় না। তাই পারলে ফয়েল, গ্লিটার বা প্লাস্টিকের শীট এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করুন। বরং সেই জায়গায় রিসাইক্লেবেল প্রোডাক্ট দিয়ে গিফট প্যাক করতে পারেন যেমন ফ্যাব্রিক স্ক্র্যাপ, পুরানো সংবাদপত্র বা ক্যালেন্ডার যা পুনরায় আবার ব্যবহার করা যেতে পারে। ক্রিসমাসের এই সুন্দর মুহূর্তে আপনার আপনজনদের প্লাষ্টিক ফ্রি গিফট এবং ইকো ফ্রেন্ডলি কার্ডস উপহার দিয়ে তাদের অবাক করে দিন। তবে এগুলো বাজার থেকে কেনার সময় অবশ্যই ইকো লোগোগুলি দেখে নেবেন।
ডেকরেশনের জন্য প্লাস্টিকের পুষ্পস্তবক আনবেন না :
ঘর কিংবা ক্রিসমাস ট্রি সাজাবার জন্য প্লাষ্টিক বা গ্লিটারি ডেকোরেশনের জিনিষ এড়িয়ে যাওয়ারই চেষ্টা করুন। এগুলো ব্যবহার না করে ডেকোরেশনের জন্য গাছের পাতা, ফুল অথবা ন্যাচারাল কিছু ঘর সাজাবার জিনিষ কাজে লাগাতে পারেন। এগুলো পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে না এবং ঘরের শোভাকেও বাড়িয়ে তোলে।
অহেতুক খাবার অপচয় করবেন না :
ক্রিসমাস এসে গেছে বলে প্রচুর জিনিষ কিনে নষ্ট না করে প্রয়োজন অনুপাতে ব্যবহার করুন। এই সময় বাড়িতে পার্টি, ছোটোখাটো অনুষ্ঠান লেগেই থাকে, তাই চেষ্টা করুন বেশি খাবার বানিয়ে নষ্ট না করতে। বরং লাঞ্চ বা ডিনারে যেটুকু দরকার সেটুকুই বের করুন , যেমন ধরুন স্টার্টারে যদি টার্কি সার্ভ করতে চান, তবে কিছু অংশ কেটে পিএস বানিয়ে রাখুন এবং বাকিটা ফ্রিজে তুলে রাখুন পরে আবার ব্যবহার করার জন্য । এতে খাবার অপচয় অনেক কম হবে।
পূর্ব পরিকল্পনা , সঠিক চিন্তা-ভাবনাকে এইক্ষেত্রে কাজে লাগান এবং এই ক্রিস্মাসকে ইকো ফ্রেন্ডলি বানিয়ে তুলুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
