শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ফিতাকৃমি বা সুতোকৃমির সংক্রমণ। ফিতাকৃমিকে চ্যাপ্টাকৃমিও বলা হয়। একটি ফিতাকৃমির দৈর্ঘ্য কয়েক ইঞ্চি থেকে ৪০ ফুট বা তার বেশি হতে পারে। সাধারণত দূষিত খাবারের মাধ্যমে তাদের ডিম বা লার্ভা শিশুদের পাকস্থলীতে প্রবেশ করে। আবার সুতাকৃমিকে কুঁচোকৃমিও বলা হয়। তারা ক্ষুদ্র, পাতলা, সাদা এবং সর্বদা নড়াচড়া করে। এই কৃমি মলদ্বারে বসবাস করে এবং স্ত্রী কৃমি মলদ্বারের আশেপাশে ডিম পাড়ে। সুতাকৃমির সংক্রমণ শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: কখনও শানু-কখনও উদিত! অলকা ৩৫ বছর স্বামীর থেকে আলাদা! গায়িকার প্রেমজীবন চরম গোপনে রাখা
কনৌজ স্বাস্থ্য দফতর জাতীয় কৃমিনাশক দিবস পালন করেছে। এই দিন, জেলা জুড়ে সমস্ত সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল, স্বাস্থ্য দফতর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা শিশুদের বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করেন। ১ ফেব্রুয়ারি সারা জেলা জুড়ে জাতীয় কৃমিনাশক দিবসের প্রচার চালানো হয়।
আরও পড়ুন: সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে মলত্যাগের সময় এই বিশেষ জিনিস দেখলে সাবধান! রেকটাল ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে
কনৌজের সিএমও ডা. বিনোদ কুমার বলেন যে, এই বিশেষ অভিযানে ৯ লক্ষেরও বেশি শিশুকে এই ওষুধ খাওয়ানোর আয়োজন হয়। শিশুদের জন্য এই ওষুধ খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অভিভাবকদের সামনেই শিশুদের এই ওষুধ খাওয়াবে স্বাস্থ্য বিভাগ। এই ওষুধ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং নিরাপদ ভাবে শিশুদের খাওয়ানো হয়। এই ওষুধ সেবনে শিশুদের পেটে কৃমির সমস্যা হবে না এবং রক্তশূন্যতার মতো মারাত্মক রোগও এড়ানো সম্ভব হবে।
সন্তানদের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে
যদি এই ওষুধটি সময়মতো না নেওয়া হয় তবে এটি রক্তশূন্যতা নামক সবচেয়ে বড় এবং মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে। পেটে কৃমি থাকার কারণে এই রোগ হয় এবং এই কৃমি শরীরে উৎপন্ন রক্ত শুষে নেয়। আমাদের দেহে ফিতা কৃমি, গোল কৃমির মতো নানান ধরনের কৃমি দেখা যায়। যার কারণে শরীরে রক্তস্বল্পতাসহ নানা ধরনের রোগ হতে থাকে। কিছু কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে এটি কমানো হলেও, বাচ্চাদের সঠিক বয়সে এই ওষুধ খাওয়ানো উচিত। এমতাবস্থায় এই প্রচেষ্টা যদি সময়মতো না করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে তা মারাত্মক প্রমাণিত হতে পারে।
কোন বয়সে কতটা ওষুধের ডোজ দিতে হবে?
অ্যালবেন্ডাজল নামে একটি ট্যাবলেট ১ বছর থেকে ১৯ বছরের মধ্যে সমস্ত শিশুদের দেওয়া হয়। তবে এই ওষুধ ১ বছরের কম বয়সী শিশুদের দেওয়া হয় না। ১ বছর থেকে ২ বছর বয়সী শিশুদের অর্ধেক ট্যাবলেট দেওয়া হয়। একই সঙ্গে, এই সম্পূর্ণ ট্যাবলেটটি ২ বছর থেকে ১৯ বছর বয়সী শিশুদের দেওয়া হয়। এই ওষুধ স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নিজেদের তৎপরতায় এবং প্রচেষ্টায় নিজেদের কর্মীদের সাহায্যে অভিভাবকদের সামনেই বাচ্চাদের খাওয়ানো হবে।