আসলে মশা তাড়াতে বেশির ভাগ মানুষ যে লিক্যুইড ভেপোরাইজার বা কয়েল ব্যবহার করেন তাতে সুগন্ধের পাশাপাশি কীটনাশক প্রলেড্রিন থাকে। এই কারণেই অনেকের মাথা ব্যথা, চোখ জ্বালা, শ্বাসকষ্ট হয়। অনেকের ত্বকেও সমস্যা হয়।
অ্যালুমিনিয়াম, ক্রোমিয়েন্টিন, কীটনাশক, এবং সিট্রোনেলার মতো ভারী ধাতু অথচ, সুগন্ধযুক্ত পদার্থ দিয়ে তৈরি হয় এই মশারোধক। তাই তীব্র গন্ধ পাওয়া যায়। আবার এগুলি পোড়ানোর হলে যে ধোঁয়া নির্গত হয় তাতে থাকে কার্সিনোজেন। দীর্ঘ সময় ধরে এই ধোঁয়া শরীরে ঢুকলে ফুসফুসের ক্যানসার হতে পারে। হাঁপানি রোগীদের সমস্যা আরও বেশি। ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজের মতো রোগও হতে পারে, জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
advertisement
সব থেকে বড় কথা এই সব মশারোধক বস্তু ব্যবহার করার সময় আমরা ঘরের সমস্ত দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখি। বদ্ধ ঘরে ছড়িয়ে পড়ে রাসায়নিক। এতে ক্ষতির আশঙ্কা আরও বাড়ে। এমনকী মৃত্যুও হতে পারে।
চিকিৎসকরা তাই পরামর্শ দিচ্ছেন দরজা, জানলায়ও মশারির কাপড় লাগিয়ে মশা ঢোকা বন্ধ করা যেতে পারে। অন্ধকার হওয়ার আগেই দরজা-জানালা বন্ধ করে দিতে হবে। হাত-পা ঢাকা পোশাক পরে ঘুমোতে হবে। মশা প্রতিরোধে ক্রিমও লাগানো যেতে পারে। তবে এথেকে কারও অ্যালার্জি হলে তা বন্ধ করে দেওয়াই ভাল। মশা মারার ব্যাটও ব্যবহার করা যায়।
এছাড়া, দেখতে হবে বাড়ির আশেপাশে কোথাও জল জমে আছে কি না। সঙ্গে সঙ্গে তা পরিষ্কার করে দিতে হবে। কারণ ওই জলেই মশার বংশ বিস্তার ঘটে।
যাঁরা হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে ভুগছেন তাঁর মশারোধক রাসায়নিক ব্যবহার করা উচিত নয়। শিশুদেরও এর থেকে দূরে রাখতে হবে।