এপ্রসঙ্গে বিজ্ঞানীরা বলেন,"আমরা দেখতে পেয়েছি যে জ্ঞানের পরীক্ষাগুলিতে যারা সর্বাধিক নম্বর পেয়েছেন এবং যারা সর্বনিম্ন নম্বর পেয়েছেন তাদের মধ্যে চক্ষুতারার আকারের প্রধান পার্থক্য যে যথেষ্ট বড় ছিল তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।"
১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সের মধ্যে বিজ্ঞানীরা ৫০০ জন ব্যক্তির উপরে বিস্তারিতভাবে পরীক্ষা করেছিলেন। অংশগ্রহণকারীদের বিজ্ঞনীরা ল্যাবরেটরির আলোতে একটি ফাঁকা কম্পিউটারের স্ক্রিনে তাকাতে বলেন। তার পরে, গবেষকরা আই ট্র্যাকার (Eye tracker) ব্যবহার করে অংশগ্রহণকারীদের চক্ষুতারার আকারটি পরিমাপ করেন। এক্ষেত্রে কর্নিয়া এবং চোখের মণিকে সঠিকভাবে বোঝার জন্য কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত একটি উচ্চ-শক্তিযুক্ত ক্যামেরা ব্যবহার করা হয় যা আই ট্র্যাকারের কাজ করেন। বিজ্ঞানীতা ওই আই ট্র্যাকার ব্যবহার করে প্রত্যেক ব্যক্তির চোখের মণির গড় আকার পরিমাপ করেন।
advertisement
এর পর, অংশগ্রহণকারীদের কিছু কাজ করতে হয় যার মাধ্যমে তাদের "তরল বুদ্ধিমত্তা" (fluid intelligence) অর্থাৎ নতুন সমস্যাগুলির মাধ্যমে তর্ক করার এবং সমাধান করার ক্ষমতা, "মনোযোগ নিয়ন্ত্রণ"- বিভ্রান্তির মধ্যে মনোযোগ ঠিক রাখার চেষ্টা, এবং "স্মৃতির ক্ষমতায় কাজ"- প্রয়োজনীয় সময়ে তথ্য সঞ্চয়ের ক্ষমতা-এই তিনটি বিষয় পরিমাপ করা হয়।
বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেছেন যে কোনও ব্যক্তির চোখের মণি আকারে বড় হলে তার বেশি তরল বুদ্ধি এবং মনোযোগ নিয়ন্ত্রণ থাকে। সেই সব মানুষের স্মৃতির বেশি ক্ষমতাও থাকে তবে তা তরল বুদ্ধি এবং মনোযোগ নিয়ন্ত্রণের তুলনায় কম হয়।
মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যে কতটা নিয়ন্ত্রণ, সংগঠন এবং সমন্বয় ঘটছে তাও চক্ষুতারা বলে দিতে পারে। যদি এই সমন্বয়টি খুব ভালো হয় তবে একজন ব্যক্তি আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং কাজ করতে পারেন যা মস্তিষ্ককে জ্ঞানের দক্ষতায় ভালো কাজ করতে সাহায্য করে। এমনকি বিশ্রাম নিলেও তা চোখের মণির আকারে প্রতিফলিত হয়।