প্রায় ৫০০ বছর আগে সাধক গদাধর কবিরাজের হাত ধরে সূচনা হয়েছিল এই পুজোর। আজও সেই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর মহা সমারোহে উদযাপিত হয় এই উৎসব। এক চিলতে সংকীর্ণ গলির মধ্যে পরপর সাতটি দুর্গা মন্দির, যার শুরু গৌরাঙ্গ মন্দির দিয়ে এবং শেষ প্রান্তে রয়েছে মা কালীর মন্দির। সপ্তমীর সকালে কাঁসর-ঘণ্টার ধ্বনিতে একসঙ্গে সাতটি দোলা নিয়ে কলাবৌ স্নান করাতে যান গ্রামবাসীরা, মায়ের বোধন হয়, তার পর আবার সকলের একসঙ্গে প্রত্যাবর্তন। গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল জানালেন, ” এই পুজো ৫০০ বছরেরও বেশি পুরনো পুজো। প্রতিটি মন্দিরে প্রতিমা তৈরি হয়। হিংলো নদী থেকে জল আনা হয়, অষ্টকলসের স্নান হয়, কুমারী পুজো হয়। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত সবকিছুই নিয়মমাফিক চলে। শেষে নদীতে প্রতিমা বিসর্জন হয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে।”
advertisement
সাতটি আলাদা মণ্ডপে পুজো হলেও প্রতিটি মণ্ডপের জন্য আলাদা ব্রাহ্মণ থাকেন, সব মিলিয়ে ১৪ জন পুরোহিত মন্ত্রোচ্চারণে মাতিয়ে তোলেন পরিবেশ। গ্রামবাসীদের মতে, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে এখানে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে আনন্দে মেতে ওঠেন। একসঙ্গে সাত দুর্গার পুজো বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের পাথরকুচি গ্রামকে পরিণত করেছে ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অনন্য কেন্দ্রবিন্দুতে।