বোলপুর শান্তিনিকেতনের এখন অন্যতম আকর্ষণ এই ‘দখিন হাওয়া’। এটি শুধুমাত্র একটি বাংলো বাড়ি নয় বরং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব নিদর্শন। দক্ষিণ হাওয়া তার বিভিন্ন ধরনের ফুল,ফল এবং গাছের সমাহারে পর্যটকদের মনমুগ্ধ করে। দূর দূরান্ত থেকে বহু পর্যটক এখানে ছুটে আসেন যেন প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়ার অনুভব উপলব্ধি করতে। গাছগুলির মাঝে খুঁজে পাওয়া যায়, নানান ধরনের রঙিন ফুল। শীতের আবহাওয়ায় শান্তির অনুভূতি এবং বৃষ্টির দিনে এক বিশেষ আমেজ। বীরভূমের এটি এমন এক স্থান যেখানে সৌন্দর্য প্রকৃতি একসঙ্গে অনুভব করা যায়। দূর দুরান্ত থেকে আগত পর্যটকেরা এখানে এসে ছবি ক্যামেরা বন্দি করছেন।
advertisement
তবে একটি বিশেষ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করা হয়-বাড়ির ভিতরে প্রবেশের কোনও অনুমতি নেই। বাড়িটি একটি অভ্যন্তরীণ শান্তির প্রতীক। এর বাহ্যিক সৌন্দর্যই পর্যটকদের কাছে এক অন্যতম আকর্ষণ। এই বাংলো বাড়িটি যেন এক চিলতে ফুলের উপত্যকা ক্ষীরাই। যেখানে শুধু বাইরের সৌন্দর্যই নয় গভীর প্রশান্তি এবং নিরিবিলি পরিবেশও অনুভব করা যায়। বাংলোর মালিক মূলত বাইরে থাকেন তবে গাছগুলির পরিচর্যা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাড়ির মালিক নিয়মিত একটি মোটা অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ করেন। এর পাশাপাশি বাড়ির কর্মীরা এই স্থানটির যত্ন নিয়ে থাকেন। যাতে এটি সর্বদা তার প্রকৃতিক রূপে অপূর্ব হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন : বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে শনিবার দিনভর ভক্তদের ঢল তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে
‘দখিন হাওয়া’ বোলপুরের অন্যতম পর্যটক আকর্ষণ হিসেবে পরিচিত এবং স্থানীয়দের কাছে এটি গর্বের বিষয়। তাই এবার বোলপুর গেলে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই জায়গা থেকে। এই বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে না পারলেও আপনি খুব অনায়াসেই গেটের বাইরে থেকেই নানান ধরনের ছবি ক্যামেরাবন্দি করতে পারবেন।