যে খাবারটি জীববৈচিত্র্যের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে, তা হল স্পেনের একটি রোস্ট ল্যাম্ব ডিশ লেচাজো, (ভেড়ার মাংস), যা ব্রাজিলের জনপ্রিয় খাবার। গবেষণায় বলা হয়েছে, যে মাংসযুক্ত খাবারগুলি নিরামিষ খাবারের তুলনায় জীববৈচিত্র্যের উপর বেশি প্রভাব ফেলে। দক্ষিণ ভারতীয় বিখ্যাত খাবার ইডলিও রয়েছে সেই তালিকায়। ষষ্ঠ স্থানে। তা ছাড়া উত্তর ভারতীয় খাবার রাজমাও (কিডনি বিন) গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ককবরক ভাষা-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ভাষার সংরক্ষণ ও মর্যাদা দেবে ত্রিপুরা সরকার
সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক লুইস রোমান ক্যারাস্কো জানান, প্রতিটি খাবার উপাদানের উপর ভিত্তি করে প্রজাতি এবং বন্য স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি এবং উভচর প্রাণীর উপর প্রভাব ফেলে। যে বায়োডার্ভাসিটি ফুটপ্রিন্ট বলতে বোঝায়, খাবারটি তৈরি করতে প্রজাতির যেই পরিমাণ সংখ্যা প্রভাবিত হয়, সেই সংখ্যাটি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, আমরা সেই খাবারটি খাচ্ছি বলে কত প্রজাতিকে বিলুপ্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছি।
কৃষি সম্প্রসারণের ফলে আবাসস্থল বিনষ্ট হওয়ায় জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। আমিষ জাতীয় খাবার গবাদি পশু পালনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এখন এটা বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা যে খাবারগুলি খাচ্ছি তা আমাদের জীববৈচিত্র্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে কিনা।