মেয়েদের সাজ:
সরস্বতী পুজোতে যে শাড়িই বেছে নিতে হবে, সেটা বলাই বাহুল্য। সাজে স্নিগ্ধতা আনতে চাইলে বেছে নেওয়া যেতে পারে হালকা রঙের সুতি কিংবা খাদির শাড়ি। ছিমছাম মেক-আপ আর কাপড় কিংবা পোড়া মাটির গয়নায় হয়ে ওঠা যাবে সুন্দর। আলগোছে করা হাতখোঁপায় আটকে নেওয়া যেতে পারে রঙ্গন কিংবা কাগজ ফুল। ফলে চোখ ফেরাতেই পারবে না মনের মানুষটা। সকালে হালকা সাজই একদম পারফেক্ট। কিন্তু রাতের দিকে মনের মানুষের সঙ্গে ডেট থাকলে গাঢ় রঙের শাড়ি বেছে নেওয়া যেতে পারে। জমকালো সাজের ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন সম্বলপুরি, ইক্কত, তেলিয়াকটন কিংবা সিল্ক কটন, গাদোয়াল শাড়ি বেছে নেওয়া যেতে পারে। আবার হলুদের এক-এক রকম শেডও এই দিনের জন্য দুর্দান্ত।
advertisement
আরও পড়ুন - কাড়ি কাড়ি ওষুধ ফেল! হাজার চেষ্টাতেও ব্লাড সুগার কন্ট্রোল হয় না, চমকপ্রদ 'ফল' দেবে এই 'ফুল'!
হলুদ-কালোর মিশেলও কিন্তু রাতের সাজের জন্য ভাল যায়। তবে সাদা কিংবা অফ হোয়াইটকে সকালের সাজের জন্যই পারফেক্ট বলা হলেও সাদার অমোঘ আকর্ষণ থেকে বেরোতে পারেন না অনেকেই। তবে জমকালো সাজের ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে যে, বিয়ে বাড়ির সাজ আর সরস্বতী পুজোর সাজ কিন্তু এক নয়। তাই গয়না বাছতে হবে বুঝেশুনে। এই ধরনের শাড়ির সঙ্গে সিলভার কিংবা ব্ল্যাকপলিশ জুয়েলারিও অসাধারণ যাবে। আর মেক-আপও রাখা উচিত ছিমছাম। শাড়ি পরার ইচ্ছে না-থাকলে বেছে নেওয়া যায় চিকনকারি কাজের কুর্তিও। কিংবা পরে নেওয়া যায় ব্লক প্রিন্টেড ইন্ডিগো স্কার্ট আর সাদা রঙের মানানসই টপ। সঙ্গে কানে পরে নেওয়া যেতে পারে সিলভার ঝুমকো।
ছেলেদের সাজ:
বাঙালির ভ্যালেন্টাইনস ডে মানেই মনের মানুষকে সঙ্গে করে একটা ফুরফুরে দিন কাটানো। ফলে মেয়েদের সাজের পাশাপাশি ছেলেদের সাজও গুরুত্বপূর্ণ। আর বাঙালির ভালোবাসার দিনে শাড়ি-পাঞ্জাবি না-হলে কি আর জমে। তাই মেয়েরা যেহেতু শাড়ি বেছে নিচ্ছেন, ছেলেরাও এই দিন পাঞ্জাবিটাই বেছে নেবেন, এটাই স্বাভাবিক। জিন্সের উপর গলিয়ে নেওয়া যেতে পারে হালকা কাজ করা কুর্তা অথবা পাঞ্জাবি। একরঙা পাঞ্জাবি বা কুর্তার উপর পরে নিতে পারেন জহরকোট বা প্রিন্টেড জ্যাকেট। সাজে একটু অন্য রকম ছোঁয়া আনতে চাইলে বেছে নেওয়া যেতে পারে লুজ ফিটের কটন প্যান্ট এবং উজ্জ্বল রঙের ব্লক প্রিন্টের শার্ট।