ভাল খবর হল, ব্রণপ্রবণ ত্বক হলে সব কিছুই এড়িয়ে যেতে হবে তাও নয়। থেরাপিউটিক স্কিন কেয়ার সবচেয়ে ভাল। বিশেষ করে যাঁদের ব্রণ হওয়ার প্রবণতা আছে। এতে উপকার মিলবে। কসমেটিক ফর্মুলেশনের কোন উপাদানে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার একটা গাইডলাইন এখানে দেওয়া হল। ব্রণপ্রবণ ত্বক হলে এগুলো এড়িয়ে যেতে হবে।
সিলিকন: স্কিন কেয়ার, হেয়ার কেয়ার এবং মেকআপ সামগ্রীতে ব্যাপকভাবে সিলিকন থাকে। এই উপাদান মুখে একটা ক্রিমি অনুভূতি তৈরি করে। ত্বক তাৎক্ষণিকভাবে কোমল হয়। আরাম পাওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা হল ত্বকের ভাল স্বাস্থ্যের জন্য এর কোনও ভূমিকা নেই। সিলিকন ত্বকের উপর একটা পাতলা স্তর তৈরি করে। ফলে ত্বক নরম হয়। কিন্তু ত্বকের ছিদ্র মুখ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্রণ হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা থাকে।
advertisement
নারকেল তেল: চুলে নারকেল তেল লাগায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, সব তেল একই পদ্ধতিতে তৈরি হয় না। কিছু তেল, যেমন তিলের তেল, ব্রণ-প্রবণ ত্বকের জন্য আশীর্বাদ হতে পারে, কিন্তু নারকেল তেল নয়। যদিও নারকেল তেলের প্রচুর উপকারিতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: Beauty Tips: আজীবন যৌবন ধরে রাখতে চান! এই নিয়মগুলো মেনে চললেই কেল্লাফতে!
কিন্তু ব্রণপ্রবণ ত্বক হলে এর থেকে দূরে থাকাই ভাল। নারকেল তেল ভারী। এর কমেডোজেনিক রেটিং রয়েছে ৫ এর মধ্যে ৪ (৫ সবচেয়ে ছিদ্রযুক্ত)। এর ফলে নারকেল তেল ত্বকের ছিদ্রে আটকে যায়। তাই ব্রেকআউট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এর আণবিক ওজন ৫৫৫ ডাল্টন। তাই ত্বকে শোষিত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
সোডিয়াম লরেল সালফেট: মুখ ধোয়া, শ্যাম্পু, এমনকি ডিটারজেন্ট এবং ডিশ ওয়াশিং লিকুইডে সোডিয়াম লরেল সালফেট সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকে। এর কারণ হল এটি ময়লা, তেল এবং জঞ্জালের চমৎকার ক্লিনজার। ব্রণপ্রবণ ত্বক হলে এসএলএস যুক্ত ফেসওয়াশের বদলে মাইকেলার ওয়াটার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা ভাল।
আরও পড়ুন: Water Benefits: শীতের রাতে ঘুমোনোর আগে মাত্র এক গ্লাস জল বদলে দেবে জীবন! সমস্ত রোগের ছুটি
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
