ভাইরাল সংক্রমণ কীভাবে ছড়ায়?
সাধারণত, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ভাইরাল সংক্রমণ মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। ভাইরাল সংক্রমণ বিভিন্ন ধরনের অণুজীব যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক, প্রোটোজোয়া ইত্যাদি দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে। এর কারণে সর্দি, কাশি, জ্বর, জন্ডিস, ডায়রিয়া-বমি, পেট সংক্রান্ত সমস্যা, ত্বক ও চুল সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও সেরিব্রাল ফিভার, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, সোয়াইন ফ্লু, এইচ১এন১ ইনফ্লুয়েঞ্জা, জন্ডিস, এইচআইভি ইত্যাদির মতো বিপজ্জনক রোগও হতে পারে।
advertisement
রোগের লক্ষণ
ভাইরাল ইনফেকশনের কারণে জ্বর, শরীরে ব্যথা, দুর্বলতা, চোখ জ্বালা, গলা জ্বালা, ঘন ঘন হাঁচি, মাথা ভারী হওয়া, নাক বন্ধ হওয়া, নাক দিয়ে জ্বালা, চোখ লাল হওয়া, চোখ থেকে জল পড়া, কাশি, চুলকানি এইসব লক্ষণ দেখা যায়। এছাড়াও ত্বকে ফুসকুড়ি বা শরীরে লাল রঙের ফুসকুড়ি, ব্রণ, চুল পড়া, শ্বাস নিতে অসুবিধা, ফুসফুসে সংক্রমণ, ঠাণ্ডা লাগা, বুকে ব্যথা, অ্যালার্জি, অস্থিরতা ইত্যাদিও অন্যতম লক্ষণ।
এছাড়াও ভাইরাল সংক্রমণ আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। ভাইরাল সংক্রমণের কারণে পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি, ক্ষুধা হ্রাস, বদহজম ইত্যাদি হতে পারে। কখনও কখনও সংক্রমণ শরীরের স্নায়ুতন্ত্র এবং মস্তিষ্ককেও প্রভাবিত করে। এর কারণে জ্ঞান হারানো, খিঁচুনি, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, কোমা ইত্যাদি গুরুতর লক্ষণও দেখা যায়।
কীভাবে রোগ নির্ণয় করা যেতে পারে?
প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শে ক্লিনিকাল পরীক্ষা করা হয়। এরপর প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসক কিছু ল্যাবরেটরি পরীক্ষাও করেন। ল্যাবরেটরিতে রক্ত, থুতু, প্রস্রাব, সিএসএফ-এর (কোমরের অংশ থেকে নেওয়া জল) মাধ্যমে ভাইরাস অ্যান্টিজেন, অ্যান্টিবডি এবং জেনেটিক পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া এক্স-রে, সোনোগ্রাফি, সিটি স্ক্যান, এমআরআই-এর মতো পরীক্ষাও করা হয়।
চিকিৎসার সময় কী খেয়াল রাখা উচিত?
রোগীদের সর্বদা মাস্ক পরতে হবে। প্রতিদিন যোগাসন-প্রাণায়াম করা উচিত। রোগীর যতটা সম্ভব বিশ্রাম করা উচিত। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল রাখতে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। প্রতিরোধমূলক ওষুধ সময়মতো গ্রহণ করা উচিত। খেতে বসার আগে সব সময়েই হাত ধোয়া জরুরি। সেই সঙ্গে বাইরের খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে যতটা সম্ভব।