রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ১৮ জনের মধ্যে এই বিশেষ প্রতিযোগিতায় সেরার সেরা মুকুট পড়েন সর্বজিতা। বাঁকুড়ার ভাদুল গ্রাম থেকে বাঁকুড়া শহর হয়ে কলকাতা কাঁপানোর এই অভিযান যথেষ্ট চমকপ্রদ। সর্বজিতার বাবা পেশায় শিক্ষক সন্দীপ সিনহা বলেন, যারা ভাল গান করে তারাও পড়াশোনায় ভাল হয়। অর্থাৎ কন্যা সর্বজিতার এই বহুমুখী প্রতিভায় খুব একটা অবাক নন তিনি। তিনি আরও বলেন যে, ছোট থেকেই গান ছাড়া থাকতে পারত না সর্বজিতা।
advertisement
গানের প্রতি তার অগাধ ভালবাসা। প্রথম বড় সুযোগ আছে ২০১৯ সালে। দুর্গাপুরে একটি জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো এর অডিশনে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে তাক লাগান সর্বজিতা। চলতি বছরে এবার বাংলা জয় করে বাঁকুড়ার নাম উজ্জ্বল করলেন তিনি। তবে দুর্দান্ত গান করার পাশাপাশি দুর্দান্ত পড়াশোনা করা খুব একটা সহজ কাজ নয়, সেটা বলা-ই বাহুল্য। তবে কিভাবে সম্ভব হচ্ছে এই ব্যালান্স?
আরও পড়ুন : ‘পহেলগাঁও’ শব্দের মানে কী? পীরপাঞ্জালের কোলে কাশ্মীরের এই পাহাড়ি গ্রামের এরকম নাম হল কেন? জেনে নিন
সর্বজিতাকে প্রশ্ন করা হলে উত্তর দেন, যে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই একটা রুটিন তৈরি করে নেন তিনি। সেই রুটিন অনুযায়ী গানের চর্চা এবং পড়াশোনা করে থাকেন তিনি। এভাবেই বছরের পর বছর চলছে অধ্যবসায়। ভবিষ্যতে গান এবং পড়াশোনাকে সমানতালে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় বাঁকুড়া তনয়া সর্বজিতা সিনহা।