মুকুটমনিপুরের বিশাল জলাধার ও সবুজ পাহাড়ঘেরা পরিবেশ এই সময়ে আরও মনকাড়া হয়ে ওঠে। কুয়াশা আর ঝলমলে রোদের লুকোচুরি খেলায় জলরাশির ওপর পড়া আলো তৈরি করে এক অনন্য দৃশ্য। পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ নৌকো বিহার। ঠান্ডা হাওয়ার স্পর্শ আর শান্ত জলের বুকে নৌকোর ছন্দে ছুটে চলা—সব মিলিয়ে এক আলাদা রোমাঞ্চ অনুভব করেন পর্যটকেরা। কেউ কেউ ক্যামেরাবন্দি করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কেউ আবার ব্যস্ত সেলফি আর গ্রুপ ছবিতে।
advertisement
স্ত্রীর নামে পোস্টঅফিসে ১ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোসিট করলে ২ বছরে কত টাকা মিলবে?
পিকনিকের আবহে মুখরিত গোটা এলাকা। বিভিন্ন জায়গায় বসেছে ছোট-বড় পিকনিক পার্টি। রান্নার গন্ধ, হাসি-ঠাট্টা আর গান-বাজনায় জমে উঠেছে উৎসবের মেজাজ। শীতের আরাম, রোদ পোহানো দুপুর আর খোলা প্রকৃতি—সব মিলিয়ে মুকুটমনিপুর যেন বছরের শেষ দিনে এক বিশাল মিলনক্ষেত্র। পর্যটকদের সুবিধার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের তরফে নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনাও চোখে পড়ার মতো।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মুখেও হাসি। খাবারের দোকান, নৌকো পরিষেবা, হস্তশিল্প ও ছোটখাটো বিপণনে ভালোই ভিড় লক্ষ্য করা যায়। পর্যটকদের আগমনে বছরের শেষ দিনে অর্থনৈতিক দিক থেকেও চাঙ্গা মুকুটমনিপুর এলাকা।
সব মিলিয়ে কুয়াশা-মোড়া সকালে শুরু হয়ে ঝলমলে রোদে ভেজা এই দিনটি মুকুটমনিপুরকে পরিণত করেছে বাঁকুড়ার সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় ডেস্টিনেশনে। বছরের শেষ দিনে প্রকৃতির কোলে আনন্দ, বিশ্রাম আর উৎসবের স্বাদ পেতে মুকুটমনিপুর যে সেরা ঠিকানা, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।