জানা যায়, ১৬৪৭ খ্রিস্টাব্দে ঢাকার বিখ্যাত জনার্দন কর্মকার এটি তৈরি করেন। জাহানকোষা কামানও তিনিই তৈরি করেছেন। বিশাল এই বাচ্চাওয়ালি কামান ১৮ ফুট লম্বা, ব্যাস ২২ ইঞ্চি আর প্রায় ৭৬৫৭ কিলোগ্রাম ভারী। এই কামান দাগার জন্য প্রয়োজন হত ১৮ সের মশলা বারুদ। তবে কামানটার নাম ‘বাচ্চাওয়ালি’ কীভাবে হল? এই নিয়ে একটা গল্প লোকমুখে প্রচলিত আছে।
advertisement
আরও পড়ুন : লাল নাকি হলুদ কলা-কিডনির পাথর থেকে পাইলস রোধে কোনটা বেশি উপকারী? জানুন সত্যিটা
বলা হয়, এই কামান দাগা হয়েছিল মাত্র একবারই। কিন্তু সেই তোপ দাগার শব্দ এত তীব্র ছিল যে তার অভিঘাতে আশেপাশের বহু গর্ভবতী মহিলা সে সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই কারণেই এর নাম দেওয়া হয় বাচ্চাওয়ালি তোপ। তার পর থেকে এই ভয়ংকর কামান আর ব্যবহার করা হয় না। তার কারণ অনেক অন্তঃসত্ত্বার গর্ভস্থ ভ্রূণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জেরে এই ঘটনায় নবাব অত্যন্ত ব্যথিত হন। এর পরে কামানটি আর ব্যবহার করা হয়নি।
মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারিতে এসে অনেকেই কামানের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। দেখেন কী আছে কামানের মধ্যে। তবে আজও ইতিহাস নিয়ে বেঁচে আছে এই বাচ্চাওয়ালি কামান।