আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশন মূলত পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (Public Private Partnership) বা PPP-র মাধ্যমে করা হবে। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদি হেলথ কেয়ারের খরচ কিছুটা কম হবে। বিশ্বের অনেকগুলো ওয়েস্টার্ন নেশনেই অনেকদিন ধরে এই প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। এই মিশনের আইটি বেসড সলিউশনের মাধ্যমে জনগন এবং হেলথ ওয়ার্কার দুই তরফেরই সুবিধা হবে। এর মাধ্যমে রোগীদের সকল তথ্য একই জায়গায় থাকবে, যা তাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সুবিধা করবে। এই মিশনের মাধ্যমে ভারতের হেলথ সেক্টর সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল করে তোলা হবে, যা ভারতের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ব্যবস্থাকে উন্নততর করে তুলবে।
advertisement
আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশনের এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল। এর মাধ্যমে সমস্ত নাগরিকের একটি নিজস্ব হেলথ আইডি নম্বর তৈরি করা হবে। সেখানেই তার সমস্ত ডিটেলস দেওয়া থাকবে। এছাড়াও রোগীদের সুবিধার জন্য কেন্দ্রীয় ভাবে হেলথকেয়ার প্রফেশনাল রেজিস্ট্রি (Healthcare Professionals Registry) বা HPR এবং হেলথকেয়ার ফেসিলিটিজ রেজিস্ট্রি (Healthcare Facilities Registries) বা HFR-এর ব্যবস্থা থাকবে। এর মাধ্যমে যে কোনও রোগীর খুব কম সময়ে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেতে সুবিধা হবে। এই ডিজিটাল মিশনের প্রধান লক্ষ্যই হল হেলথ সংক্রান্ত সমস্ত কিছু এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা। এর মাধ্যমে সমস্ত কিছুই পরিচালনা করা হবে ডিজিটালি, এর ফলে রোগীদের সঙ্গে সঙ্গে হেলথ ওয়ার্কার ও ডাক্তারদেরও সুবিধা হবে।
আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশনের মাধ্যমে নানা ধরনের ডিজিটাল ডিভাইজ, টেলিমেডিসিন, স্পেশ্যালাইজড ইন্সট্রুমেন্ট, ডেটা অ্যানালিটিক্স ইত্যাদির সুবিধা পাওয়া যাবে ঘরে বসেই। এই ধরনের উন্নত হেলথ টেকনোলজির মাধ্যমে বাড়িতেই চিকিৎসা করা সম্ভব হবে। এর ফলে সব থেকে বেশি সুবিধা হবে প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকাগুলোর। যেখানে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর অবস্থা খুবই খারাপ সেই সব প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতেও কার্যকরী হবে আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশন।