TRENDING:

Hair Fall Reduce Tips|| চুল ঝরা, অকালপক্কতায় জেরবার? ‘শিরোঅভ্যাঙ্গম’-এই মিলবে মুক্তি, জানুন পদ্ধতি

Last Updated:

Hair fall reduce: এখানে স্বাস্থ্যকর চুল পেতে স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: সংস্কৃতে চুলকে বলে কেশ। অস্থি ধাতুর উপজাত। এটা শরীরের ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনের ভারসাম্য রক্ষার দিকে ইঙ্গিত করে। বাহ্যিক, অভ্যন্তরীন বা পরিবেশগত চাপ থাকলে শরীরের সামগ্রিক কার্যকরিতা প্রভাবিত হয়। সাধারণত বায়ু, পিত্ত কফ- এই ত্রিদোষের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে এমনটা হয়। এর প্রভাব থেকে রেহাই পায় না চুলও। তখন চুল পড়া, শুষ্ক বা নিস্তেজ হয়ে যাওয়া কিংবা অকালে চুল সাদা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা শুরু হয়।
প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।
advertisement

ঋতু পরিবর্তনের সময়েও চুলের নানা সমস্যা দেখা দেয়। অত্যধিক টক, মশলা নোনতা কিংবা প্রিজারভেটিভযুক্ত খাবার খেলেও চুলের নানা সমস্যা হতে পারে। এইসব সমস্যার সমাধান রয়েছে আয়ুর্বেদে। এখানে স্বাস্থ্যকর চুল পেতে স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে দেওয়া হয়েছে কিছু ঘরোয়া টোটকা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেগুলোই।

advertisement

আরও পড়ুন: সেরা দাওয়াই জল! উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে দিনে ঠিক কত পরিমাণ জল পান করবেন? জানুন

আয়ুর্বেদিক হেয়ার কেয়ারের অন্যতম অঙ্গ হল কেশ হার্বস। এক ধরনের আয়ুর্বেদিক ভেষজ। এটা চুলের বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যকর মাথার ত্বক পেতে সাহায্য করে এবং চুল পড়া রোধ করে। চুলের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় আয়ুর্বেদিক ভেষজ হল ভৃঙ্গরাজ, শিকাকাই, তিল, নারকেল, আমলা এবং মেথি। চুলের যত্নে এই ভেষজগুলি ব্যবহার করতে হবে। সঙ্গে এইসব ভেষজ রয়েছে এমন পণ্য কেনাটাও গুরুত্বপূর্ণ।

advertisement

শিরোঅভ্যাঙ্গম: তেল দিয়ে মাথায় মাসাজ করাকেই শিরোঅভ্যাঙ্গম বলে। আয়ুর্বেদিক কেশচর্চার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এটা। এটা চুলের যত্ন তো নেয়ই, সঙ্গে মন এবং শরীরকেও শিথিল করে। সঙ্গে নিশ্চিত করে মাথার ত্বকের পুষ্টি।

পদ্ধতি:

১) কাঁসার বাটিতে ডবল বয়লার পদ্ধতিতে তেল গরম করতে হবে। এটা চুলের গভীরে গিয়ে তেল এবং ভেষজকে সক্রিয় করে।

advertisement

আরও পড়ুন: ওজন কমাতে স্ট্রেন্থ ট্রেনিংয়ের জুড়ি নেই, কীভাবে বাড়িতেই শুরু করবেন? জানুন

২) চুলকে দু'ভাগ করে তেল লাগাতে হবে। সঙ্গে আঙুল দিয়ে ধীরে ধীরে মাসাজ করতে হবে মাথার ত্বকে। এটা রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে।

৩) চুল যাতে ভালোভাবে তেল শোষণ করতে পারে সে জন্য অন্তত ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর সালফেট এবং প্যারাবেন মুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে চুল।

advertisement

হেয়ার মাস্ক: কন্ডিশনিং, ঘন এবং স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য কিছু ঘরোয়া টোটকার নিদান দিয়েছে আয়ুর্বেদ। বলা হয়েছে, রাতে শোবার আগে হাফ কাপ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগাতে হবে। পরদিন সকালে স্নান করে নিতে হবে। এছাড়া মেথি বীজ গুঁড়ো করে তার সঙ্গে তাজা জবা পাতার পেস্ট তৈরি করেও চুলে লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর যথারীতি ধুয়ে ফেলতে হবে ঠান্ডা জলে।

খুশকি এবং সিজনাল ইনফেকশনের মতো মাথার ত্বকের সমস্যা মোকাবেলায় নিম পাতা দারুণ উপকারী। প্রথমে নিম পাতা জলে ফুটিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। তারপর স্নানের শেষে সেই জল লাগাতে হবে চুলে। পাশাপাশি আয়ুর্বেদে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কখনও গরম জল চুল না ধোয়া হয়। ভেজা চুল খোঁপা করতেও নিষেধ করা হয়েছে।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Hair Fall Reduce Tips|| চুল ঝরা, অকালপক্কতায় জেরবার? ‘শিরোঅভ্যাঙ্গম’-এই মিলবে মুক্তি, জানুন পদ্ধতি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল