গর্ভধারণের আগে কী কী মাথায় রাখবেন?
তাঁর মতে যখন কোনও কৃষক তাঁর জমিতে নতুন ফসলের পরিকল্পনা করেন, তখনই তাঁকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করে দেখতে হয়৷ যেমন অনুকূল জলবায়ু, মাটির উর্বরতা, সঠিক সেচ এবং বীজের গুণমান। উপরোক্ত কারণগুলির যে কোনও একটিতে সামান্যতম বিচ্যুতি ঘটলেই ফসলের গুণমান হ্রাস পেতে পারে। তাতে গাছের বৃদ্ধি ও বিকাশকে প্রভাবিত হতে পারে। একইভাবে, একটি সুস্থ ভ্রূণকে গর্ভে ধারণের জন্যও কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি৷ যেমন,
advertisement
উর্বরতার সময়
জরায়ুর সুস্থতা
সঠিক রক্ত সঞ্চালন
ভাল মানের ডিম্বাণু ও শুক্রাণু
আরও পড়ুন: ১০ টাকার চিপসের প্যাকেটে কতটা চিপস থাকে? জানলে হতবাক হবেন আপনি!
আয়ুর্বেদ কী বলছে?
এইগুলি সমস্ত বিষয়কে সুস্থ ভ্রূণের জন্য অনুকূল করে তুলতে আয়ুর্বেদ গর্ভধারণের আগে দম্পতির স্বাস্থ্য এবং সুস্থতাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। দম্পতিদের শরীর পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বিশ্লেষণ করার পরে, তাদের শারীরবৃত্ত পরিষ্কার করার জন্য বামন, বিরেচন, বাস্তি ইত্যাদি মতো পঞ্চকর্ম চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়। তারপর প্রয়োজন অনুসারে উর্বরতা উন্নত করার জন্য ওষুধের নিদান দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে দম্পতিদের এক মাস সঙ্গমে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর ফলে শরীর নিখুঁত ভারসাম্য রেখে কাজ করতে পারে। একই সঙ্গে ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুর মান উন্নত হতে পারে।
আরও পড়ুন: ডিম আমিষ নাকি নিরামিষ কখনও ভেবে দেখেছেন? উত্তর জানলে চমকে যাবেন
বীজ সংস্কার কী?
বীজসংস্কার শব্দের অর্থ হল পুরুষ ও নারীর গ্যামেট বা বীজের গুণমান উন্নত করার জন্য পূর্ব ধারণাগত যত্ন। সেক্ষেত্রে জীবনধারার পরিবর্তন, খাদ্যভ্যাসের পরিবর্তন, প্রাণায়াম, ধ্যান, যোগ-সহ পঞ্চকর্ম এবং আয়ুর্বেদিক ফর্মুলেশন বাড়ানোর উপর নজর দেওয়া হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থা পরিকল্পনা করার কমপক্ষে তিন থেকে ছ’মাস আগে বীজসংস্কার শুরু করতে হবে দম্পতিকে। পরীক্ষায় এটা দেখা যায় যে বীজসংস্কারের পরে গর্ভধারণ করা একজন মহিলার গর্ভাবস্থা সংক্রান্ত জটিলতা কম হয়। ভ্রূণের স্বাস্থ্য ভাল থাকে এবং সুন্দর মাতৃত্বের পথ সুগম হয়৷