যাত্রার ১৮ দিন পেরিয়ে এসে তিনি পৌঁছেছেন জলপাইগুড়িতে। তাঁর এই যাত্রা শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণে নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক গভীর বার্তা—বিশ্বশান্তি ও মানুষের মধ্যে ভালবাসার বিস্তার। তাপসের কথায়, “আজ গোটা বিশ্ব জুড়ে চলছে হানাহানি, যুদ্ধ আর বিভেদ। আমি চাই সকলে মিলে একত্রে বসবাস করি, ভালবাসা ছড়িয়ে পড়ুক মানুষের মধ্যে।” এই দীর্ঘ পদযাত্রার আর এক লক্ষ্য হল, ভারতীয় সৈনিকদের জন্য প্রার্থনা। তিনি বিশ্বাস করেন, দেশের সীমান্তে যাঁরা রোজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহারা দেন, তাঁদের সুরক্ষার জন্য ঈশ্বরের আশীর্বাদ প্রয়োজন। তাই বাবা ভোলেনাথের চরণে পৌঁছে দেশের শান্তি ও সৈনিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা জানাবেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন : গ্রামে ভগ্নপ্রায় পৈতৃক বাড়ি, জন্মস্থানেই মুছতে বসেছে প্রবাদপ্রতিম চিকিৎসক নীলরতন সরকারের স্মৃতি
যাত্রাপথে বহু মানুষ তাঁর এই উদ্যোগে সঙ্গ দিচ্ছেন, কেউ খাবার দিচ্ছেন, কেউ আশ্রয়। সাধারণ মানুষের একাংশ বলছেন, “এমন উদ্যোগ সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যায়। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে কেউ যদি শুধুমাত্র শান্তির জন্য হাঁটে, তবে সেটা আমাদের সমাজের পক্ষে এক বড় বার্তা।” আগামী দু ‘মাসের মধ্যে তাপস কেদারনাথ পৌঁছে যাবেন বলেই জানান। এই যুবকের সফর কেবল ধর্মীয় নয়, এক মানবিক অভিযাত্রা। তাঁর লক্ষ্য পৌঁছনোর পথটা হয়তো কঠিন, কিন্তু মনের জোরে এগিয়ে চলেছে তাঁর পদক্ষেপ।