১. যদি কোন কোভিড-পজিটিভ ব্যক্তি ভ্যাকসিন গ্রহণ করে তবে কী হবে?
যদি কেউ কোভিডে আক্রান্ত হন তবে তাঁর শরীরে এর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এই ক্ষেত্রে, আপনি যখন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন, তখন এটি প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়াটিতে কার্যকর হবে না।
২. নতুন কোভিড ১৯ বাচ্চাদের উপরে আরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে কি?
বাচ্চারা সাধারণত আশেপাশের প্রাপ্তবয়স্কদের কাছ থেকে বা স্কুল থেকে সংক্রমিত হয়। গত বছর স্কুলগুলি বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ বাচ্চাই বাড়িতে থাকার ফলে সংক্রমিত হয়নি। কিন্তু এখন স্কুলগুলি আবার খুলতে শুরু করায় বাচ্চারাও আক্রান্ত হচ্ছে। তবে শিশুদের উপরে এই রোগের প্রভাব কম হয়।
advertisement
৩. ভ্যাকসিন এর প্রথম ডোজ নেওয়ার পর বেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না কি দ্বিতীয় ডোজের পরে বেশি হয়?
প্রথম ডোজ এর তুলনায় ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর বেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। যদিও তা সাময়িক।
৪. CO-WIN পোর্টালে নাম নিবন্ধিত করার পরেও কেউ যদি তাঁর প্রথম বা দ্বিতীয় ভ্যাকসিন দেওয়ার তারিখ ভুলে যান সেক্ষেত্রে কি হবে?
কেউ যদি প্রথম ডোজটি মিস করেন সেক্ষেত্রে আবার নাম নিবন্ধন করার ব্যবস্থা রয়েছে। আর কেউ যদি দ্বিতীয় ডোজটি মিস করেন তবে এক্ষেত্রেও পুনরায় করার ব্যবস্থা রয়েছে।
৫. দেখা যাচ্ছে যাঁরা বয়সের ভিত্তিতে ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না, সে সব ব্যক্তিও ভ্যাকসিন নেওয়ার চেষ্টা করছেন। সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার কী করছে?
সম্প্রতি দিল্লির দু'টি ইনস্টিটিউটে ৪৫ বছরের কমবয়সী ব্যক্তিদেরও স্বাস্থ্যকর্মী হিসাবে দেখিয়ে কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন দিচ্ছে বলে দেখা গিয়েছে। এর ফলে ভ্যাকসিনের অপব্যবহার বন্ধ করতে সরকার CO-WIN পোর্টালের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মী এবং ফ্রন্টলাইন কর্মীদের নাম নিবন্ধন বন্ধ করে দিয়েছে আপাতত। এর পরিবর্তে এখন তাঁরা কোনও সরকারি অনুমোদিত স্থানে গিয়ে নিজেদের নাম নিবন্ধন করতে পারবেন। এছাড়াও সেখানে তাঁদের স্বাস্থ্যকর্মী বা প্রথম সারির কর্মী প্রমাণ করতে উপযুক্ত তথ্য দেখাতে হবে।
৬. AstraZeneca ভ্যাকসিন এবং রক্ত জমাট বাঁধার সম্পর্ক নিয়ে এখনও অনুসন্ধান করা হচ্ছে। কিন্তু এমন কি কোনও উপায় বা লক্ষণ রয়েছে যার মাধ্যমে বোঝা যাবে যে রোগীদের শিরা, ফুসফুস, হার্ট বা মস্তিস্কে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে?
প্রথমত, AstraZeneca ভ্যাকসিন ফুসফুস বা হার্টকে একেবারেই প্রভাবিত করে না। এটি কেবলমাত্র সেরিব্রাল থ্রম্বোসিসের ক্ষেত্রে সামান্য প্রভাব ফেলে। এক্ষেত্রে, প্রথম ডোজ নেওয়ার পরে সাধারণত মাথাব্যথা শুরু হয়। তবে, ভারতে খুব সামান্যই এই রকম কেস দেখা গিয়েছে।
৭. যে রোগীর আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ, তাঁদের ফুসফুসও কোভিড ১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে কি আরটি-পিসিআর নতুন স্ট্রেনের করোনায় উপযুক্ত নয়?
যদি ভাইরাসটির অনেকগুলি পরিব্যক্তি থাকে তবে এমনটা হয় যে আরটি-পিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ আসা সত্ত্বেও কেউ করোনা আক্রান্ত হন। তবে এখনও পর্যন্ত আরটি-পিসিআর একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হিসাবেই উল্লেখযোগ্য রয়েছে।
৮. যখন ভাইরাসটি এত সংক্রমণাত্মক, তখন কী ভাবে এর হাত থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যাবে?
করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষা করার একমাত্র উপায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যদি কেউ করোনা আক্রান্ত হন, তবে তাঁকে সঠিকভাবে একটি মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে, এর ফলে অন্যদের সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়। এছাড়াও ভিড় এড়িয়ে চলা উচিত। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং পাশাপাশি ভ্যাকসিন নেওয়াটাও জরুরি।