গত ২৮ মে ভাইরাসের এই ব্যক্তির শরীরে নতুন স্ট্রেইন চিহ্নিত করা হয়। সংক্রামিত ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। চিকিৎসকেরা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদেরও পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনও একটি পোলট্রি থেকে মানুষের শরীরে ভাইরাসটি গিয়েছে। এখনো আর নতুন কারও শরীরে এই নতুন ভাইরাস পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, এর আগে চিনের ইউহানে প্রথম করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। যা পরে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে অতিমারীর আকার নেয়। এনএইচসি অবশ্য আশ্বস্ত করে জানিয়েছে, এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
advertisement
এইচ১০এন৩ (H10N3) বার্ড ফ্লু স্ট্রেইনের বিষয়ে জানুন:
> এইচ১০এন৩ (H10N3) পোল্ট্রিতে পাওয়া যায় এমন একটি ভাইরাসের স্ট্রেইন, যা তুলনামূলকভাবে কম গুরুতর, কম রোগজীবাণু রয়েছে। এনএইচসি-র তথ্য অনুযায়ী, এটি বেশি মানুষের মধ্যে ছড়ানোর সম্ভাবনা কম।
> ভাইরাসটির সম্পূর্ণ জেনেটিক ব্যাখ্যায় দেখা গিয়েছে, এটি অ্যাভিয়ান (Avian) প্রজাতির।
> বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র মতে, এইচ১০এন৩ বার্ড ফ্লু স্ট্রেন যে মানুষের শরীরে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে এমন প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
> বার্ড ফ্লু-র এইচ১০এন৩ স্ট্রেইন এই ভাইরাসের সাধারণ স্ট্রেইন নয়।
> বিশ্বে আগে এই ভাইরাস থেকে মানুষের সংক্রামিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
> যেহেতু পোল্ট্রিতে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দেখা যায়, তাই মানবদেহে সংক্রমণ অনিবার্য।
কী ভাবে নিজেকে প্রতিরোধ করবেন:
> পোল্ট্রিতে যাঁরা কাজ করেন তাঁরা নিজেদের সরাসরি অসুস্থ ও মৃত পাখিদের সংস্পর্শে আনবেন না।
> মাস্ক পড়া ও আত্ম-প্রতিরোধ সচেতনতা বাড়ানোর সঙ্গেই এনএইচসি সাধারণ মানুষকে খাবারের স্বাস্থ্যবিধিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে পরামর্শ দিয়েছে।