এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ নামক এই পত্রিকায় বলা হয়েছে যে এদের মধ্যে সর্বাধিক মানুষ মারা যান ভারত ও চিনে। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। তেল, গ্যাস এবং সর্বোপরি কয়লা থেকে যে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা বাতাসে মেশে, সেই বিষাক্ত বায়ু শুধু এশিয়ারই আধ ডজন দেশে মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হার্ভার্ড টি এইচ চান স্কুল অফ পাবলিক হেলথের পক্ষ থেকে এনভায়রনমেন্টাল এপিডেমোলজির অধ্যাপক জোয়েল স্কোয়ার্টজ বলেছেন যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা এটাই আলোচনা করে থাকি যে ফসিল ফুয়েল কতটা কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি করছে বা এর ফলে জলবায়ু কতটা পরিবর্তিত হচ্ছে। কিন্তু এই ফসিল ফুয়েল আমাদের স্বাস্থ্য কী ভাবে বিঘ্নিত করছে সেটা কেউ ভেবে দেখে না!
advertisement
কেন এই দূষণ চিন্তার বিষয়?
এর আগেও এই নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে। প্রমাণিত হয়েছে- মানুষের যা আয়ু, তার থেকে গড়ে অন্তত দুই বছর করে কমে গিয়েছে এই দূষণের জন্য। সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এশিয়ার দেশগুলি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু (WHO) এই নিয়ে আরও হাড় হিম করা তথ্য দিয়েছে। হুয়ের তথ্য অনুযায়ী ঘরে বাইরে মিলিয়ে প্রতি বছর শুধুমাত্র বায়ুদূষণের জন্য সাত লক্ষ মানুষ মারা যান। অন্যান্য অসুখের সঙ্গে তুলনাতেও মানুষের মৃত্যুর কারণ হিসেবে অনেক এগিয়ে আছে বায়ুদূষণ। দেখা গিয়েছে যে ম্যালেরিয়া, AIDS, HIV সংক্রমণ এবং মদ্যপানজনিত কারণের চেয়ে অন্তত ১৯ গুণ বেশি পরিমাণে মানুষ সময়ের আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বায়ুদূষণের জন্য।
কী করা উচিৎ?
বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই গবেষণার অন্যতম মুখপাত্র কর্ণ ভোহরা বিষয়টিতে যথাসম্ভব আলোকপাত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে দূষণের গড় বিস্তার না দেখে আমরা এটা বোঝার চেষ্টা করছি যে কোন কোন অঞ্চলে দূষণ বেশি শক্তিশালী এবং মানুষ কোথায় বসবাস করছে! সেটা করলে চলবে না! পাশাপাশি, বেশিরভাগ গবেষক এবং পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন যে এই দূষণরোধে বিভিন্ন দেশের সরকারকে কিছু দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। যার মধ্যে গ্রিন এনার্জির ব্যবহারকে সবার আগে রাখছেন তাঁরা!
