দোষ চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা
এক্ষেত্রে দেখা যায় পার্টনার সামান্যতম বিষয় নিয়েও অপরজনকে হেনস্থা করতে ছাড়েন না। সবসময় চেষ্টা করেন উল্টোদিকের মানুষটির ওপর দোষ চাপিয়ে দিতে। অনেকে আবার এমন ভাব দেখান যেন ভালোবাসেন জন্যই পার্টনারের সব দোষ-ত্রুটি মেনে নিচ্ছেন। এগুলো আসলে পরোক্ষভাবে কাছের মানুষকে আয়ত্তে রাখার কৌশল।
পার্টনারকে সকলের থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা
advertisement
অধিকারপ্রবণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালে প্রথম প্রথম একটা মিষ্টি অনুভূতি আসে। সকলের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একসঙ্গে থাকার মধ্যে একটা রোমান্টিক ব্যাপার থাকলেও কালক্রমে তাই বিপদ হয়ে দাঁড়ায়। শেষপর্যন্ত দেখা যায় অন্য পুরুষ-মহিলার কথা তো ছেড়েই দিন আত্মীয়-বন্ধু এমনকি পরিবারের মানুষদের সঙ্গেও এরা মেলামেশা করতে দেবেন না।
নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করা
পার্টনারের দোষ চোখে পড়লেও নিজেকে নিয়ে এরা খুব সজাগ। এদের ব্যবহার নিয়ে কাছের মানুষটি কিছু বলতে গেলে এরাই হয়তো দু’চারটে কথা শুনিয়ে দেবেন। কেউ আবার ‘সব দোষ আমার’ বা ‘আমি তোমার যোগ্য নই’ এসব বলে সমবেদনা আদায় করতে চেষ্টা করেন অথচ নিজেকে পরিবর্তন করতে চাননা।
সম্পর্ক শুরুর ক্ষেত্রে অধিকার দেখানো
এইরকম মানুষ আমরা অনেকেই হয়তো দেখেছি। এরা সম্পর্কের শুরু থেকেই প্রায় জোড় করে ভালোবাসা আদায় করার চেষ্টা করেন। বারবার উল্টোদিকের মানুষটাকে ভালোবাসার কথা বলতে চাপ দেন। অনেকে হয়তো বুঝতেও পারেননা পার্টনার আসলে অধিকার দেখাচ্ছেন। অনেকেই বাধ্য হয়ে সম্পর্কে জড়িয়ে যান।
কৌশলে কাজ করিয়ে নেওয়ার প্রবণতা
এরা সাধারণত পার্টনারের সঙ্গে সরাসরি ঝামেলা বা বিবাদে জড়ান না আবার নিজে বিবাদ থেকে মেটাতেও চান না। মনক্ষুন্ন হওয়ার ভান করে কৌশলে কাজ করিয়ে নিতে চান। পার্টনার যতক্ষণ না পর্যন্ত এদের কথা মেনে না নেবেন ততক্ষণ এরা কোনও কিছুতে সহযোগীতা করবেন না।
গ্যাসলাইটিং (Gaslighting)
মনোবিদ্যায় সাধারণত এই শব্দটি ব্যবহার করা। একজন কোনও বিষয় নিয়ে যখন অন্য জনের কথা বলতে যায় তখন আলোচনার পরিবর্তে সম্পূর্ণ বিষয়টাই ঘুরিয়ে দেওয়া হয় প্রথম জনের দিকে। অর্থাৎ অধিকারপ্রবণ বা ম্যনিপুলেটিভ পার্টনারের সঙ্গে তাদের কোনও সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গেলে উল্টোদিকের মানুষটিকেই তারা প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেবেন।