টক খেলে গায়ে রোদ লাগে না, এমন কথা মা-ঠাকুমারা বলতেন। কথাটা ভুল নয়। শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে কাঁচা আম। যে হারে গরম দিনের পর দিন বাড়ছে, খাবার যত হালকা আর সহজপাচ্য হয়, ততই ভাল। এতে শরীর খারাপ হবার সম্ভাবনাও কমে। তাছাড়া অরুচি কাটাতেও আম ডালের জুড়ি নেই। এখানে দেখে নেওয়া যাক আম ডাল বানানোর প্রক্রিয়া।
advertisement
আরও পড়ুন: নীরবেই দানা বাঁধে প্রস্টেট ক্যানসার, এই এক লক্ষণ দেখলেই পুরুষরা সাবধান! মৃত্যুর হার বাড়ছে
১/২ কাপ মুগ ডাল, ১টা বড় সাইজের কাঁচা আম, ২ টেবিল চামচ মিহি করা আদাকুচি, ১/৪ চা চামচ হলুদগুঁড়ো, ২ টেবিল চামচ সর্ষের তেল, ১/৪ চা চামচ গোটা জিরে, ৬ কাপ জল, নুন আন্দাজমতো।
ভাল করে জল দিয়ে ডাল ধুয়ে নিতে হবে। ৩ থেকে ৪ বার ধুলেই ভাল। এবার একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ আদাকুঁচি দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে ডাল। ডাল সেদ্ধ হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে একটু ঘুটুনি দিয়ে ডালটা ঘুটে নিলে ভালো হয়। অন্য দিকে, আমের খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে নুন ও সামান্য হলুদ মাখিয়ে রাখতে হবে। এবার কড়াইয়ে সরষের তেল গরম করে শুকনো লঙ্কা আর জিরে ফোঁড়ন দিয়ে তাতে আমের টুকরোগুলো ভেজে নিতে হবে। এবার সেদ্ধ করে রাখা ডালে আমের টুকরোগুলো ছেড়ে দিয়ে পরিমাণ মতো দিতে হবে নুন এবং চিনি।
আরও পড়ুন: গরম পড়তেই রান্নাঘর-বাথরুমে বাচ্চা আরশোলার উপদ্রব শুরু, মুক্তি পাওয়ার দাওয়াই আছে ঘরেই! জানুন
এবার এতে গরম জল দিয়ে ফের চালু করতে হবে গ্যাস। এবার অল্প আঁচে ডাল জ্বাল দিতে হবে। ঘন হয়ে এলে গ্যাস বন্ধ করে দেওয়া যায়। গরমকালের জন্য ডাল একটু পাতলা রাখাই ভাল। তাই যদি মনে হয়ে খুব ঘন হয়ে আসছে, তাহলে ডালে আরেকটু জল মিশিয়ে নেওয়া যায়। টক ডালের ক্ষেত্রে চিনির পরিমাণ বোঝা অত্যন্ত জরুরি। এর উপরেই ডালের টক ভাব এবং মিষ্টির ছোঁয়া নির্ভর করে থাকে।