তা ছাড়া মেদবহুল শরীর যে রোগের আধার- সেও কি আর মিথ্যে কথা! নয় যখন, তখন আগে থাকতে সাবধান হতে ক্ষতি কী! এই ১৫ নিয়ম একটানা ১৫ দিন মেনেই দেখুন না! নিজেকে অনেক ঝরঝরে লাগবে, মিলিয়ে নেবেন!
১. ঘাম ঝরুক, সঙ্গে মেদও
লেখাই বাহুল্য, সবার আগে একটা শারীরিক ব্যায়ামের মধ্যে রাখতে হবে নিজেকে। যত ঘাম ঝরবে, তত ঝরবে মেদও- গোড়ার দিকে এটুকু মনে না রাখলেই নয়!
advertisement
২. খান মেপে-বুঝে
ভুল ভাববেন না, আমরা আপনাকে না খেয়ে থাকতে বলছি না, বলছি না পছন্দের খাবার থেকে দূরে থাকতেও। শুধু খাদ্যতালিকায় কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার যোগ করুন। আর একটা তালিকাও বানিয়ে ফেলুন- সপ্তাহের কোন দিনে কোনটা খাবেন।
৩. চোখের খিদেকে চোখ রাঙান
চোখের খিদেতে অনেক কিছু হাবিজাবি খেয়ে থাকি আমরা। এই অভ্যেস একটু হলেও যদি রোধ করা যায়, নির্মেদ হওয়া আটকায় কে!
৪. নিজেকে উপহার দিন
এটা আসলে ঘুষ দেওয়ার মতো। যদি সংযমে কাজ না হয়, তবে নিজেকে নিয়ম মেনে চলার পর একটা কিছু কিনে দিন। দেখবেন, তাতে নিয়ম মানতে সুবিধা হচ্ছে।
৫. একটু আগেই নৈশভোজ
দেরি করে রাতের খাবার খেলে তা পুরোপুরি পরিপাক হয় না। অতএব রোজ একটু তাড়াতাড়ি আর একই সময়ে নৈসভোজ সারুন।
৬. আর ঘুম থেকে উঠে?
ঘুম থেকে উঠেই চা বা কফির দিকে দৌড়বেন না। বরং এক গেলাস ঈষদুষ্ণ জলে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে খান। মেদ ঝরবেই পাক্কা!
৭. তেলেভাজার ফাঁদে নয়
কিছু করার নেই- নির্মেদ থাকতে চাইলে খুব নির্মম ভাবেই ভাজাভুজি খাওয়া বন্ধ করতেই হবে।
৮. মিষ্টিমুখে বদল
চিনি একেবারে ছেঁটে ফেলতে হবে পাত থেকে। বদলে গুড় বা মধু চলতে পারে।
৯. চিবিয়ে খান
মানে, সময় নিয়ে ভালো করে চিবিয়ে প্রতিটা গ্রাস গিলতে হবে। না হলে শুধু যে হজমে সমস্যা তা নয়, খাওয়াও হবে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি। মানে শরীরে মেদও বেশি!
১০. জলই জীবন
রোজ নিদেনপক্ষে ২ লিটার জল খেলে তবেই তা আপনার শরীরে জমে থাকা মেদকে গলিয়ে ফেলবে।
১১. সবুজ বিপ্লব
সাধারণ চা-কফির বদলে গ্রিন টি, গ্রিন কফির দিকে হাত বাড়ান দেখি! খেতেও মন্দ নয়, পাশাপাশি মেদ জমার ভয় নেই।
১২. বেশি খাবেন না
যতটুকু দরকার, ঠিক ততটুকু খেলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার ভয় থাকে না।
১৩. গ্যাজেট থেকে দূরে
না, গ্যাজেট হাতে নিলে মেদ বাড়ে না। তবে ওই গ্যাজেটে চোখ রেখে কখন বেশি খেয়ে ফেলবেন, কে বলতে পারে! তাই খাওয়ার সময়ে টিভি বন্ধ করুন, ফোনটাকে রেখে দিন হাতের নাগালের বাইরে।
১৪. মাঝে মাঝে নিজে রাঁধুন
ব্যাপার হল, বিশেষজ্ঞদের মতে নিজে রাঁধলে না কি নিজের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে সচেতন থাকা যায়। বেশ তো, করে দেখতে ক্ষতি কী! আর কিছু না হোক, রাঁধার হাত খুলবে, লোকে প্রশংসা করবে!
১৫. পাতও হোক স্বাস্থ্যময়
এ তো সহজ হিসেব- যত স্বাস্থ্যকর খাবার, যেমন সবজি থাকবে পাত জুড়ে, তত কম মেদ জমবে শরীরে।