পুলিশ সূত্রে খবর, এক নাবালিকাকে খাবারের মধ্যে কোনওকিছু মিশিয়ে খাইয়ে বেহুঁশ করত অভিযুক্ত যুবকের মা। তারপর তার ছেলে নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করত বলে অভিযোগ। একবার নয়, এমন ঘটনা ঘটেছে লাগাতার! বারংবার মহিলা নাবালিকাকে মাদক খাইয়ে আধা বেহুঁশ করে রাখত, তার পর সেই সুযোগে নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করত ছেলে। হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর যুবক ও তার মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পকসো অ্যাক্টে মামলা হয়েছে। ধৃত যুবকের নাম কুনাল কোঠারি, তার মায়ের নাম অনুশ্রী কোঠারি।
advertisement
চলতি মাসের শুরু দিকেই হরিদেবপুরের আরেক যৌন হেনস্থার ঘটনা সামনে আসে। কিশোরকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার আশ্রমের এক কর্মচারী বিশ্বনাথ শীল। অভিযোগ এই মাসের ছয় তারিখ করুনাময়ী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের এক কিশোর জানান যৌন হেনস্থার কথা। কিশোর তার পরিবারকে জানান ওই সেবাশ্রমের এক কর্মী তার যৌন হেনস্থা করছে। আরও জানান কালীপুজোর সময় থেকেই মূলত যৌন হেনস্থা করা হয় ওই দশ বছরের কিশোরকে। দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত কর্মচারীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রথমে বিশ্বাস যোগ্য মনে না হলেও পরবর্তীকালে দশ বছরের কিশোরের কথা শুনে অনেক সহকর্মীর চোখ কপালে।
এই যৌন হেনস্থার কথা দশ বছরের কিশোর জানায় তার মা-কে। কিশোর মা প্রথমে অবাক হলেও ছেলের কথা শুনে বিষয়টি জানান ওই সেবাশ্রমের কতৃপক্ষকে। পুরো বিষয়টি কতৃপক্ষের কাছে আসতেই জানানো হয় হরিদেবপুর থানায় । কিশোরের পরিবারের তরফে জানানো হয় যৌন হেনস্থার পুরো ঘটনার বৃত্তান্ত। হরিদেবপুর থানায় জানানো হয়, সেবাশ্রমের কর্মচারী বিশ্বনাথ শীল কাজের ফাঁকে ও চোখের আড়ালে যৌন হেনস্থা করে। হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরেই গ্রেফতার করা হয় বছর সাতচল্লিশের বিশ্বনাথ শীলকে। ওই সেবাশ্রমের সুপার জানান, ছয় তারিখ পুরো বিষয়টি বলে ওই কিশোর। মূলত কালীপূজার সময় এই ঘটনার পরেই কিশোর তার মাকে পুরো ঘটনাটি জানাতে বাধ্য হয়। ওই সেবাশ্রমে বাকি দশজন শিশুকে নজরে রাখা হচ্ছে ঘটনার পর থেকেই। হরিদেবপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা পরে আলিপুর আদালতে পেশ করলে দুই দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।