নবান্ন সূত্রে খবর 'জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০'-র একাধিক অংশকে রাজ্যের শিক্ষানীতি তৈরির ক্ষেত্রে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। যদিও সে ক্ষেত্রে ভাবা হয়েছে, রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা। তবে জাতীয় শিক্ষানীতির কয়েকটি অংশ রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের জন্য সুবিধাজনক নয় বলে সেই অংশগুলিকে বাদও দেওয়া হয়েছে রাজ্য শিক্ষানীতি থেকে বলেই সূত্রের খবর। স্কুল শিক্ষায় জাতীয় শিক্ষানীতির অংশকে গুরুত্ব না দিয়ে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক দুটি স্তর রাখার পক্ষপাতী রাজ্য। তবে জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে সেমিস্টার সিস্টেম নিয়ে আসা হচ্ছে স্কুল স্তরে। জাতীয় শিক্ষানীতির বাইরে গিয়ে রাজ্য নিয়ে আসছে 'স্পোর্টস পলিসি'।
advertisement
পাশাপাশি প্রতিদিন স্কুলে-স্কুলে হেলথ চেকআপ করা হবে, এই বিষয়টিও নিয়ে আসা হচ্ছে শিক্ষানীতিতে। তবে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্ক রাজ্য। জাতীয় শিক্ষানীতির পরামর্শ না মানলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক অনুদান পেতে সমস্যা হতে পারে, আর তা আশঙ্কা করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির হাতেই পঠন-পাঠন-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে তারা জাতীয় শিক্ষানীতি মেনেই চার বছরের স্নাতক স্তর কার্যকর করবে? জানা গিয়েছে, এই সিদ্ধান্তটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপরই ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে । পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জাতীয় শিক্ষানীতির মতামত গুলিকেই বিশেষভাবে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে রাজ্য শিক্ষা নীতিতে বলেই জানা গিয়েছে।
এমফিল তুলে দেওয়ার ব্যাপারে জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে একমত রাজ্যের খসড়া শিক্ষানীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। পিএইচডি-সহ উচ্চ শিক্ষাক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতির বেশিরভাগ অংশকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে খসড়া রিপোর্টে। নবান্ন সূত্রে খবর খসড়া রিপোর্ট জমা পড়লেও চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক করে তা অনুমোদন করানো হবে। সেক্ষেত্রে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই রাজ্যের শিক্ষানীতি কার্যকর করা হতে পারে বলে জল্পনা।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়